ইতোমধ্যেই তদন্তকারী দলের কাছে তিন হাজার বিজ্ঞাপন জমা দিয়েছে যোগাযোগের মাধ্যমটি। মার্কিন কংগ্রেসের হয়ে কাজ করছে এই তদন্তকারী দলটি, বলা হয়েছে বিবিসি’র প্রতিবেদনে।
ফেইসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিজ্ঞাপনে ইমিগ্রেশন, বন্দুকের অধিকার ও এলজিবিটি’র মতো বিষয়গুলো রয়েছে। “এতে বিভেদ সৃষ্টিকারী সমাজ ও রাজনৈতিক বার্তা” দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এক ব্লগ পোস্টে ফেইসবুকের নীতি ও যোগাযোগ বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট এলিয়ট শ্রেজ বলেন, তার বিশ্বাস প্রায় এক কোটি মানুষ এই বিজ্ঞাপনগুলোর মধ্যে কিছু সংখ্যক দেখেছেন, কিন্তু এর ২৫ শতাংশ কেউই দেখেননি।
ভার্চুয়ালি এর ৯৯ শতাংশ বিজ্ঞাপন কেনা হয়েছে ১০০০ মার্কিন ডলারের নিচে। আর এর অর্ধেক কেনা হয়েছে তিন ডলার দিয়ে।
ইনস্টাগ্রামে যে বিজ্ঞাপনগুলো দেখা গেছে তাতে খরচ হয়েছে ৬৭০০ মার্কিন ডলার।
সম্প্রতি বিজ্ঞাপন নীতিমালায় পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে ফেইসবুক। এর মধ্যে এমন নীতিমালাও রাখা হয়েছে যেখানে নির্দিষ্ট কিছু বিজ্ঞাপনে রোবট ছাড়াও বাড়তি মানুষের পর্যালোচনা ও অনুমোদন দরকার হবে।
কংগ্রেসের সঙ্গে যে বিজ্ঞাপনগুলো শেয়ার করা হয়েছে সেগুলো প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা ভঙ্গ করেনি বলেও জানিয়েছে ফেইসবুক।
২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ ছিল কিনা তা জানতে বিস্তৃত পরিসরে তদন্ত চালাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর অংশ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর থেকে তথ্য চেয়েছে কংগ্রেস।