এই আইনে বলা হয়েছে, ইন্টারনেটে আপলোড করা ছবি, ভিডিও আর অন্যান্য কনটেন্ট শত্রুপক্ষগুলোকে সহায়তা করবে সামরিক বাহিনীর এমন তথ্য প্রকাশ করে দিতে পারে। সেই সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভৌগলিক অবস্থান শনাক্তকরণ প্রযুক্তি সামরিক বাহিনীর কোনো বিভাগ কোথায় রয়েছে তা প্রকাশ করে দিতে পারে।
বিদেশে পাঠানো হতে পারে এমন সৈন্যদের জন্যই এই আইন কার্যকর হবে, অতিরিক্ত সৈন্যদের জন্য নয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবিসি’র প্রতিবেদনে। ইউক্রেইন আর সিরিয়াতে থাকা রুশ সামরিক বাহিনীর তথ্য দেশটির সৈন্যদের দেওয়া সামাজিক মাধ্যমের পোস্টগুলোতে প্রকাশ পেয়েছে।
২০১৪ সালের জুলাইয়ে বিবিসি’র মিরোস্লাভা পেটসা একটি ছবি টুইট করেন। ওই ছবিতে দেখা যায়, একজন রুশ সৈনিক এক পোস্টে গর্বের সঙ্গে ইউক্রেইনের রাশিয়া সমর্থক বিদোহীদের গ্র্যাড রকেট সরবরাহ করছেন।
ইউক্রেইন আর পশ্চিমা সরকারগুলোর অভিযোগ রাশিয়া ইউক্রেইনের এই বিদ্রোহীদের ভারী অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে। কিছু রুশ ‘স্বেচ্ছাসেবক’ বিদ্রোহীদের সহায়তা করছে বলে স্বীকার করে নিলেও, সেখানে নিয়মিত সামরিক বাহিনী পাঠানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছে দেশটি।
ইউটিউব-এ ভাইস নিউজ-এর প্রতিবেদন সিমন অস্ত্রভস্কি একবার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন। এতে তিনি দেখান ইউক্রেইনের পশ্চিমাঞ্চলে রুশ সামরিক বাহিনীর সরাসরি ভূমিকা নিশ্চিত করতে সামাজিক মাধ্যমে রুশ সৈনিকদের দেওয়া পোস্টগুলো কীভাবে সহায়তা করেছে।
২০১৪ সালের অগাস্টে সামাজিক মাধ্যম ও উন্মুক্তভাবে তদন্তকারী দল বেলিংক্যাট বলে, রুশ সৈনিকদের দেওয়া সামাজিক মাধ্যমের পোস্টগুলো রাশিয়ার ৭৬তম এয়ারবোর্ন রেজিমেন্ট-এর সদস্যদের মধ্যে হতাহতের খবর নিশ্চিত করেছে।