দম্পতির জালিয়াতির শিকার অ্যামাজন

অ্যামাজনের পণ্য ফেরত নীতিমালা সম্পর্কে অনেকেই অবগত। কোনো পণ্য নিয়ে গ্রাহক সেবা এজেন্টের সঙ্গে কথা বললে আর কয়েকটি প্রশ্নের জবাব দিলে বড় কোনো তদন্ত ছাড়াই ফেরত দেওয়া পণ্য নিয়ে নতুন পণ্য দিয়ে দেওয়া হয়। মার্কিন ই-কমার্স জায়ান্টটির এমন অনুশীলনের সুযোগ নিয়ে এক দম্পতি জালিয়াতি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Oct 2017, 01:48 PM
Updated : 3 Oct 2017, 01:48 PM

মার্কিন বিচার বিভাগ ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস-এর পক্ষ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের এক দম্পতি এই নীতিমালার সুযোগ নিয়ে ১২ লাখ ডলার মূল্যের ইলেকট্রনিকস পণ্যে চুরি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এরিক ফিনান আর লি ফিনান দম্পতির বিরুদ্ধে চলতি বছর মে মাসে অভিযোগ আনা হয়। সম্প্রতি তারা মেইল জালিয়াতি ও মুদ্রাপাচারের দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন।  

ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক মার্কিন সাইট বিজনেস ইনসাইডার-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই দম্পতি যেসব পণ্য অর্ডার করেছিলেন সেগুলো নষ্ট বলে দাবি করেন। তারা বিভিন্ন সংখ্যক গোপ্রো ক্যামেরা, এক্সবক্স গেইমিং কনসোল, স্যামসাং স্মার্টওয়াচ আর মাইক্রোসফট সারফেইস ট্যাবলেট অর্ডার করে জালিয়াতি করেন। এজন্য তারা কয়েকশ’ ভুয়া অনলাইন আইডি ব্যবহার করেন। 

ফিনান দম্পতির দালাল হিসেবে কাজ করার দায়ে ড্যানিয়েল গ্লুম্যাক নামের এক ব্যক্তিও অভিযুক্ত হয়েছেন। ওই দম্পতি খুচরা বিক্রয়মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে তাদের চুরি করা এক ভ্যান পণ্য ওই ব্যক্তির কাছে বিক্রি করেন। এরপর গ্লুম্যাক এই পণ্যগুলো নাম প্রকাশ না করা নিউ ইয়র্কের  প্রতিষ্ঠানের কাছে এগুলো বিক্রি করেন, লাভের একটি অংশ ফিনান দম্পতিকে দেওয়া হয়।

এই ক্ষেত্রে দেখা যায় ফিনান দম্পতি নিজেরাই জালিয়াতির শিকার হন। ১২ লাখ ডলারের পণ্য অ্যামাজন থেকে অর্ডার করেছিলেন তারা। কিন্তু গ্লুম্যাক-এর কাছ থেকে তারা পান মাত্র ৭,২৫,০০০ ডলার।

শেষমেশ এই দম্পতিকে আটক করে মার্কিন রাজস্ব কর্তৃপক্ষ আইআরএস, ইউএস পোস্টাল সার্ভিস ও ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজের পুলিশ। এই দম্পতিকে অ্যামাজনের কাছে ১২,১৮,৫০৪ ডলার পরিশোধ করতে আদেশ দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে তারা ২০ বছর কারাদণ্ডও ভোগ করতে যাচ্ছেন।