ইন্টারনেটে যুক্ত হল মানুষের মস্তিষ্ক

চলমান মূহুর্তেই মানুষের মস্তিষ্ককে ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত করার একটি উপায় বের করেছেন একদল গবেষক। দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ-এর উইটস ইউনিভার্সিটির এই অর্জনকে  বায়োমেডিকেল প্রকৌশল খাতে নতুন মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Sept 2017, 01:56 PM
Updated : 16 Sept 2017, 01:56 PM

“এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ব্রেইননেট’ আর এটি মানুষের মস্তিষ্ককে “ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবে একটি ইন্টারনেট অফ থিংস বা আইওটি নোডে পরিণত করে।”- মেডিকেল এক্সপ্রেস-এর বরাতে বলা হয়েছে বিজনেস ইনসাইডার-এর প্রতিবেদনে।

ব্যবহারকারীর মাথায় একটি ইমোটিভ ইইজি ডিভাইস যুক্ত করে মস্তিষ্ক থেকে প্রাপ্ত ইইজি সিগনালগুলো সংরক্ষণ করার মাধ্যমে এই প্রক্রিয়ায় কাজ করা হয়। তারপর এই সিগনালগুলোকে একটি রাসবেরি পাই কম্পিউটারে পাঠানো হয়। এই কম্পিউটার প্রাপ্ত ডেটা অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেইস বা এপিআই-তে সরাসরি সম্প্রচার করে। সেইসঙ্গে যে কেউ দেখতে পাবেন এমন একটি উন্মুক্ত ওয়েবসাইটেও ওই ডেটা প্রদর্শন করা হয়।

উইটস স্কুল অফ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইনফরমেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রভাষক ও এই প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক অ্যাডাম প্যানটানোভিটজ বলেন, “ব্রেইননেট মস্তিষ্ক-কম্পিউটার ইন্টারফেইস ব্যবস্থায় একটি নতুন দিগন্ত। কীভাবে একটি মানবমস্তিষ্ক কাজ করে ও তথ্য প্রক্রিয়াজাত করে তা নিয়ে এখন সহজেই বোঝা যাবে এমন ডেটার অভাব রয়েছে। ব্রেইননেট একজন মানুষের নিজের ও অন্যের মস্তিষ্ক বুঝতে পারা সহজ করার চেষ্টা করছে। এটি মস্তিষ্কের কার্যক্রম অব্যাহতভাবে পর্যবেক্ষণ করা ও কিছু অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ চালুর মাধ্যমে কাজ করে।”

প্যানট্যানোভিটজ-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, এই প্রকল্পের সম্ভাবনা এখন মাত্র শুরু হলো। এখন তাদের দল ব্যবহারকারী আর তার মস্তিষ্কের মধ্যে আরও বেশি অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ অভিজ্ঞতা আনার চেষ্টা করছে। কিছু কিছু কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হলেও তা খুব সরু পরিসরে, বাহুর নড়াচড়ার মতো উদ্দীপনার ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ। তিনি বলেন, “ব্রেইননেট আরও উন্নত হয়ে একটি স্মার্টফোন অ্যাপের মাধ্যমে রেকর্ডিংগুলো ভাগ করতে পারে। এই অ্যাপ একটি মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদমের জন্য ডেটা সরবরাহ করে। ভবিষ্যতে এটি দিয়ে দুই দিকেই তথ্য পাঠানো যাবে-মস্তিষ্কের ভেতরে ও মস্তিষ্ক থেকে বাইরে।”

এই প্রকল্প ভবিষ্যতে ইলন মাস্ক-এর নিউরাল লেইস আর ব্রায়ান জনসন-এর কেরনেল-এর মতো মেশিন লার্নিং ও মস্তিষ্ক-কম্পিউটার ইন্টারফেইসে অবদান রাখতে পারবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।