কোনো বিজ্ঞাপনের জন্য কে অর্থ পরিশোধ করছে তা প্রকাশ বা গোপন রাখার নীতিমালা যাচাইয়ের জন্য ৩০ দিন সময় দিতে রাজি হয়েছেন কমিশনাররা। ফেইসবুক আর অ্যালফাবেট অধীনস্থ গুগলে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনগুলোর ক্ষেত্রে সাধারণত অর্থদাতাদের নাম প্রকাশ করা হয় না, যার জন্য অনেক আগেই কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে রেখেছে গুগল- বলা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে।
বিদেশী সরকারগুলো মার্কিন আইনের অধীনের নির্দিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারে, এক্ষেত্রে তাদের অর্থ ব্যয়ের কথাও প্রকাশ করতে হয়। কিন্তু এটি যদি নির্বাচনে প্রভাব রাখার মতো হয় তবে তা বেআইনি।
সম্প্রতি সোশাল জায়ান্ট ফেইসবুক ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ও পরে তাদের প্লাটফর্মে এমন রুশ প্রচারণা নিয়ে অভিযোগ তুলেছে। সামাজিক মাধ্যমটি বলেছে, ২০১৭ সালের মে মাস পর্যন্ত হিসাবে দুই বছরের বেশি সময়ের মধ্যে প্রায় তিন হাজার বিজ্ঞাপনের পেছনে এক লাখ ডলার ব্যয় করা হয়েছে। এইসব বিজ্ঞাপন নির্দিষ্টভাবে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিকে সমর্থন করে না কিন্তু অভিবাসী, বর্ণ ও সম অধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে।
ফেইসবুকের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, এই বিজ্ঞাপনগুলো ব্যবহারকারীদের প্রায় ৪৭০টি অ্যাকাউন্টের দিকে নিয়ে গেছে। এসব অ্যাকাউন্ট মিথ্যা তথ্য ছড়ায় বা ফেইসবুকের শর্তাবলী লঙ্ঘন করে।
নির্বাচন কমিশনাররা বলেছেন, মতামত পাওয়ার পর এ নিয়ে একটি শুনানি হতে পারে। আর আমন্ত্রিত সাক্ষীদের মধ্যে ফেইসবুক, গুগল আর টুইটার-কেও রাখা যেতে পারে। এক্ষেত্রে ফেইসবুকে রুশ বিজ্ঞাপন যদি কোনো সমস্যা না হয়ে থাকে তবে নীতিমালা পরিবর্তনের দরকার আছে বলে মনে করেন না কমিশনাররা।
রিপাবলিকান কমিশনার লি গুডম্যান বলেন, “আমি কোনো সিদ্ধান্ত টানছি না। যে বিজ্ঞাপনগুলোর কথা বলা হচ্ছে সেগুলো আমাদের বিচার বিভাগের আওতায় আর ওই বিজ্ঞাপনগুলোতে আসলে কী বলা হয়েছে তা নিয়ে আমার কোনো ধারণা নেই।”
ডেমোক্রেটিক কমিশনার এলেন ওয়েনট্রাব বলেন, “আমরা জানি বিদেশীরা রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন ছড়াচ্ছে, কারণ ফেইসবুক আমাদের তা বলেছে।”
নিরপেক্ষে কমিশনার চেয়ারম্যান স্টিভেন ওয়ালথার বলেন, “আমাদের উচিৎ এটা নিশ্চিত করা যে আমরা গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে পাচ্ছি বা এমন কিছু মানুষকে পাচ্ছি যারা প্রযুক্তি খাতে বিশেষজ্ঞ ও আমাদেরকে একটি গঠনমূলক পদক্ষেপের দিকে যেতে সহায়তা করবেন।”