এমআইটি এআই ল্যাবে আইবিএম বিনিয়োগ

ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি’র (এমআইটি) সঙ্গে ওয়াটসন-ব্র্যান্ডেড কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ল্যাব খুলতে ২৪ কোটি মার্কিন ডলার খরচ করতে যাচ্ছে আইবিএম।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Sept 2017, 06:31 PM
Updated : 7 Sept 2017, 06:31 PM

এমআইটি’র সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরেই অংশীদারিত্বে রয়েছে কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। এর আগেও বড় বিনিয়োগের অঙ্গীকার করতে দেখা গেছে আইবিএম-কে। কিন্তু এআই খাতে এই বিনিয়োগকে উল্লেখযোগ্য বলেই দেখা হচ্ছে-- বলা হয়েছে সিএনবিসি’র প্রতিবেদনে।

এআই খাতে এমআইটি নতুন কোনো নাম নয়। প্রথম দিকের কয়েকটি এআই ল্যাবের একটি তাদের তৈরি। এই খাতের উন্নয়নে ভালো পরিচিতিও রয়েছে তাদের।

এর পাশাপাশি আইবিএম-এর সঙ্গে অনেক আগে থেকেই কাজ করে আসছে এমআইটি। ১৯৫০ সালে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য এমআইটি’র লিংকন ল্যাবরেটরির সঙ্গে কাজ করেছে বিগ ব্লু নামে পরিচিত এই প্রাতিষ্ঠানটি। আর ১৯৮০ সালে অতিপরিবাহিতা নিয়ে একটি কনসরটিয়ামের অংশ হিসেবে একসঙ্গে কাজ করেছে আইবিএম রিসার্চ ও এমআইটি।

এবার নতুন চুক্তিতে এক দশকের বেশি সময় ধরে কাজ করবে প্রতিষ্ঠান দু’টি। সাম্প্রতিক সময়ে এআই খাতে অনেক প্রতিষ্ঠানই দলবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে। চলতি বছরের জুলাই মাসে কানাডা’র ইউনিভার্সিটি অফ অ্যালবার্টা’র সঙ্গে চুক্তি করেছে অ্যালফাবেট-এর এআই ল্যাব ডিপমাইন্ড।

এ ছাড়া ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অফ মন্ট্রিয়ল-এ গবেষণায় তহবিল দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট ও অ্যালফাবেট। কিন্তু মন্ট্রিয়ালে দুই প্রতিষ্ঠান মিলে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ এক কোটি মার্কিন ডলারের কম।

আইবিএম রিসার্চ-এর এআই এবং কিউ (কোয়ান্টাম) বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডারিও গিল সিএনবিসি-কে বলেন, “এআই একটি খাত হিসেবে বহু দশক ধরে চলছে। কিন্তু এখন এটি বেশ সুস্পষ্ট যে সকল মূল প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর কেন্দ্রীর পর্যায়ে পৌঁছেছে এটি। এর মধ্যে আমরাও রয়েছি এবং অকপটে বলতে গেলে অন্য সকল ব্যবসা এবং খাতও এতে রয়েছে।”

নতুন ওয়াটসন এআই ল্যাবের সদস্যরা এমআইটি ক্যাম্পাস এবং আইবিএম-এর ওয়াটসন হেলথ অ্যান্ড সিকিউরিটি-তে কাজ করবেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এই চুক্তিতে গবেষকরা অ্যালগরিদম তৈরির পাশাপাশি হার্ডওয়্যার নিয়ে কাজ করবেন। এর মধ্যে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং চিপও রয়েছে। এর পাশাপাশি সমাজে এআইয়ের প্রভাব ফেলতে কাজ করবেন তারা।

শিল্প খাতে এর প্রভাব ফেলার পাশাপাশি সাইবার নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য সেবায় নজর দেবেন নতুন ল্যাবের গবেষকরা।