রোববার এক বৈঠকে উবার-এর নির্বাহী বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নেয়। এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেওয়া না হলেও বিষয়টি বিবিসি-কে নিশ্চিত করেছেন এক সূত্র।
চলতি বছরের জুন মাসে শেয়ারধারীদের চাপে পদত্যাগ করেন সহপ্রতিষ্ঠাতা ট্রাভিস কালানিক। সবকিছু ঠিকঠাক হলে এবার তার জায়গায় বসতে যাচ্ছেন খসরোশাহি।
সাম্প্রতিক সময়ে নানা রকমের সমালোচনার মধ্য দিয়ে গেছে উবার। নতুন প্রধানের তত্ত্বাবধানে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে তারা।
খসরোশাহি ছাড়াও হেউলেট প্যাকার্ড (এইচপি) প্রধান মেগ হুইটম্যান এবং জেনারেল ইলেক্ট্রিক চেয়ারম্যান জেফ ইমেলট-কে এই পদের জন্য বিবেচনা করা হয়েছিল বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
এর মধ্যে ইমেলট নিজেই সপ্তাহের শেষে নিজেকে এর থেকে সড়িয়ে নিয়েছেন। আর হুইটম্যান-কে এই পদের সবচেয়ে যোগ্য উত্তরাধিকার মনে করা হলেও তিনিও এতে অগ্রহী ছিলেন না।
এর আগে প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি, পুরুষতান্ত্রিক সংস্কৃতি এবং জেষ্ঠ্য নির্বাহী কর্মকর্তারা প্রতিষ্ঠান ছাড়ায় শেয়ারধারীদের চাপে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন কালানিক। এরপর থেকেই নতুন প্রধানের খোঁজ করতে নিয়মিত বৈঠক করে আসছিলেন উবার-এর বোর্ড সদস্যরা।
নতুন নির্বাহীর নিয়োগের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি প্রতিষ্ঠানের এক মুখপাত্র। আর খসরোশাহির পক্ষ থেকেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
২০০৫ সাল থেকে অনলাইন ভ্রমণ প্রতিষ্ঠান এক্সপেডিয়া’র প্রধান নির্বাহীর দায়িত্বে রয়েছেন খসরোশাহি।
উবার বোর্ড তাকে বাছাই করলেও খসরোশাহি যোগ দেবেন কিনা তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।