শনিবার উত্তর কোরীয় রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা রোডং সিনমান-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের সাইবার দলের আকার ও ক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। বলা হচ্ছে ‘হ্যাকারদের থেকে আত্মরক্ষার’ জন্যই এই পরিকল্পনা করছে দেশটি। কিন্তু একে অজুহাত হিসেবেই দেখছে উত্তর কোরিয়া।
সাইবার দলের সদস্য সংখ্যা বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে জাপানের। এর পাশাপাশি সাইবার হামলার ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বিশেষ বিভাগ খোলা হবে-- খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আইএএনএস-এর।
চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা শিনহুয়া’র প্রতিবেদনে বলা হয়, “শুধু সেলফ-ডিফেন্স ফোর্সেস (এসডিএফ)-এর কম্পিউটার ব্যবস্থাকে হ্যাকিংয়ের কবল থেকে সুরক্ষিত করাই তাদের সাইবার ইউনিটের কাজ নয়, প্রতিপক্ষের কম্পিউটার ব্যবস্থায় হামলা করাও তাদের কাজ।”
এতে আরও বলা হয়, “একবার এ ইউনিট হামলা করার ক্ষমতা অর্জন করলে এসডিএফ পুরোপুরি আক্রমণাত্মক চেহারা নেবে।”
ইতোমধ্যেই সাইবার ডিফেন্স ইউনিটে সৈন্য বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে জাপান। বর্তমানের ১১০ জনের স্থানে ১০০০ সৈন্য আনবে দেশটি। এ ছাড়া সাইবার যুদ্ধের কৌশল শিখতে একটি পৃথক দল গঠন করা হবে।
২০২০ টোকিও অলিম্পিক ও প্যারাঅলিম্পিক গেইমস সামনে রেখেই সাইবার নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপান সরকার।