চীনের শীর্ষ সাইবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সাইবারস্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফ চায়না (সিএসি) তাদের ঝেইজিয়াং প্রাদেশিক শাখা থেকে এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, পাঁচটি ওয়েবসাইটকে তাৎক্ষণিকভাবে অবৈধ ভিপিএন বিক্রেতাদের সরাতে ‘যাচাই ও সংশোধন’ করতে আহ্বান জানানো হয়েছে। এগুলো মধ্যে কয়েকটিকে নতুন ব্যবহারকারীর নিবন্ধন থামাতে ও সেবা বাতিল করতেও বলা হয়েছে, খবর রয়টার্স-এর।
বৃহস্পতিবারের ওই বিবৃতে নিয়ন্ত্রকরা আরও বলেন, “সিএসি এই পাঁচ সাইটকে তাৎক্ষণিকভাবে অবৈধ অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সম্পৃক্ত ক্ষতিকর তথ্য সরাতে বিস্তৃত পরিসরে অভিযান চালানোর আদেশ দিয়েছে।”
ইন্টারনেটকে সুরক্ষিত করতে ও কনটেন্ট-এর উপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ শক্ত করতে এটি চীনের সর্বশেষ পদক্ষেপ।
চলতি বছরের শেষে দেশটিতে কমিউনিস্ট পার্টির ১৯তম জাতীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশটির উপর পুরো বিশ্বের নজর থাকবে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে ইন্টারনেটে নজরদারি আরও কড়াকড়ি করছে দেশটি।
এই অগাস্টেই সাইবার নিরাপত্তা আইন ভঙ্গের অভিযোগে তদন্তের মুখে পড়েছে চীনের শীর্ষ তিন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ওয়েইবো, উইচ্যাট ও বাইদু তিয়েবা। এর আগে এই খাতে দেশটির নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে ভিপিএন (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক)-এর মতো নেটওয়ার্কগুলোও বন্ধ করা হয়। ভিপিএন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ‘গ্রেট ফায়ারওয়াল’ নামে পরিচিত চীনা নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যাওয়া যায়। এ ছাড়া এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ব্লক করা ওয়েবসাইটও ব্রাউজ করা যেতে পারে।
আলিবাবা এ নিয়ে এখনও কোনো মন্তব্য প্রকাশ করেনি।
ইন্টারনেট ব্যবস্থায় বরাবরই কড়া নজরদারি করে থাকে দেশটি। নিয়মতভাবেই তারা সংবেদনশীল কনটেন্ট ব্লক করে থাকে। এছাড়া ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, গুগল-সহ বৈদেশিক সাইটগুলোও বন্ধ রয়েছে দেশটিতে।