বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, গবেষকরা ডিপমোজি বানাতে ‘সবচেয়ে জনপ্রিয়’ ৬৪টি ইমোজির অন্তত একটি আছে এমন ১২০ কোটি টুইট ব্যবহার করেন। ডিপমোজি হচ্ছে আবেগ বুঝতে পারে এমন একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থার অ্যালগরিদম প্রথমে কোন ইমোজি ব্যবহার করা হতে পারে তা অনুমান করা শিখে নেয়। তারপর এটি বিদ্রুপ শনাক্ত করতে পারে, এর ফলে এটি মানুষের চেয়ে দ্রুত ঘৃণামূলক বিবৃতিগুলো শনাক্ত করে।
ভিন্ন ভিন্ন ব্র্যান্ড নিয়ে মানুষ কেমন বোধ করে তা শনাক্ত করতে বা চ্যাটবটের মতো স্মার্ট প্রোগ্রামগুলোর সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ উন্নত করতেও এটি ব্যবহৃত হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি’র সাময়িকী টেকনোলজি রিভিউ-কে অধ্যাপক ইয়াড রাহওয়ান বলেন, “লেখার ক্ষেত্রে আমরা যা বলি তাতে আমাদের কণ্ঠের সুর বা দৈহিক ভাষা ব্যবহার করতে না পারায়, ইমোজি হচ্ছে অনলাইনে আমাদের এমনটা করার উপায়।”
অধ্যাপক ইয়াড ও স্নাতক শিক্ষার্থী বিজারকে ফেলবো একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন। এই ওয়েবসাইটে মানুষদেরকে তাদের বার্তা পাঠিয়ে সেগুলো কীভাবে বলা হয়েছে তা বলে দেওয়ার মাধ্যমে ডিপমোজি’র শিক্ষা উন্নত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এই অ্যালগরিদম কোড প্রকাশের পরিকল্পনাওও করছেন তারা, যাতে এটি অন্যান্য গবেষকরাও ব্যবহার করতে পারেন।