দেশটির ফেডারেল ক্রিমিনাল পুলিশ অফিস-এর প্রেসিডেন্ট হলগার মুয়েন জার্মান দৈনিক ডাই ওয়েল্ট-কে বলেন, এ ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ডের ফলে যে বড় ক্ষতি হয় তার জন্য জার্মান আইনগুলো পরিবর্তন করা দরকার। তিনি বলেন, “পেশাদার হ্যাকাররা বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। তারা নিরাপত্তা ও অর্থনীতির বড় বিপদের প্রতিনিধিত্ব করে। তাদেরকে সেভাবেই সাজা দেওয়া উচিৎ।”
বটনেট নেটওয়ার্কগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সাইবার আক্রমণ চালানোর সুযোগ দেয়। জার্মানির বর্তমান আইনে এই ধরনের নেটওয়ার্ক পরিচালকদের বিরুদ্ধে ‘ব্যবস্থা নেওয়া কষ্টকর’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
২০১৬ সালে জার্মান টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান ডয়চে টেলিকম-এর লাখ লাখ গ্রাহক একটি সাইবার হামলার কারণে ইন্টারনেট সংযোগের বাইরে চলে যান। ভাড়ায় খেটে এই সাইবার হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেছেন এক ব্রিটিশ। তাকে প্রথমে এক বছর আট মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হলেও সম্প্রতি তার শাস্তি বাতিল করে এক জার্মান আদালত। এরপরই মুয়েন এমন মন্তব্য করলেন, উল্লেখ করা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে।
এই আইনে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে, আর রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুঁলীরা দুই বছর কারাদণ্ড দাবি করেছিলেন।
২০১৬ সালে ফেডারেল ক্রিমিনাল পুলিশ অফিস সাইবার অপরাধের ৮৩ হাজার মামলা পেয়েছে। এসব হামলায় ৫.১০ কোটি ইউরো ক্ষতি হয়েছে। অর্ধেকেরও বেশি জার্মান প্রতিষ্ঠান গুপ্তচরবৃত্তি, ডেটা হাতিয়ে নেওয়ার মতো সাইবার হামলার শিকার হয়েছে।