‘মঙ্গলযাত্রার রকেট’ উৎক্ষেপণ নভেম্বরে

চলতি বছর নভেম্বর ‘ফ্যালকন হেভি’ উৎক্ষেপণের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার এক টুইটে ঘোষণা দিয়েছে মহাকাশযান নির্মাতা মার্কিন প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্স। বিশাল এই রকেট মঙ্গলে যাত্রীবাহী অভিযান চালাতে সক্ষম বলে দাবি প্রতিষ্ঠানটির। 

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 July 2017, 04:49 PM
Updated : 30 July 2017, 04:49 PM

সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ইলন মাস্ক মঙ্গলে যাত্রীবাহী অভিযান চালানোর বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে আসছেন। যদিও এই উৎক্ষেপণের মাধ্যমে শুধুই এই যাত্রার পরীক্ষার শুরু হতে যাচ্ছে আর প্রথম চেষ্টায় ‘যানটি কক্ষপথে পোঁছাতে না পারার ভালো শঙ্কা’ আছে, বলা হয়েছে মার্কিন সাময়িকী ফরচুন-এর প্রতিবেদনে।   

২০১১ সালে মাস্ক বলেছিলেন, ফ্যালকন হেভি ‘২০১৩ বা ২০১৪’ সালে উৎক্ষেপণ করা হতে পারে।

বরাবরই উদ্ভাবনী সব ধারণা আর আর এসব ধারণা নিয়ে আশাবাদী হওয়ার কারণে পরিচিত ইলন মাস্ক। ফ্যালকন হেভি রকেটটি এক্ষেত্রে যতোটা আশা করা হয়েছিল তার চেয়েও অনেক বড় প্রকৌশলগত চ্যালেঞ্জ। এই রকেটে ২৭টি ইঞ্জিন রয়েছে, সংখ্যাটা স্পেসএক্স-এর মহাকাশযান ফ্যালকন ৯-এর তুলনায় তিনগুণ। সফলভাবে উৎক্ষেপণের জন্য এই ইঞ্জিনগুলোর মধ্যে সমন্বয় পুঙ্খানুপুঙ্খ হতে হবে। প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য আর সম্প্রতি মাটিতে চালানো পরীক্ষায় আসা সাফল্য মিলিয়ে এই উৎক্ষেপণ ঠিকঠাক হবে আশা করাই যায়, বলা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।

চলতি বছরের শুরুতে স্পেসএক্স তাদের প্রথম মঙ্গল অভিযানের তারিখ ২০১৮ থেকে পিছিয়ে ২০২০ সালে নিয়ে গেছে। 

মঙ্গলে বসতি স্থাপন নিয়ে মাস্কের পরিকল্পনায় থাকা প্রকল্পেও একটি বড় রকেট বানানোর কথা রয়েছে। ওই প্রকল্প এখনও প্রাথমিক অবস্থায় আছে।

ফ্যালকন হেভি রকেটটিতেও ফ্যালকন ৯-এর মতো পুনঃব্যবহারযোগ্য যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হবে। ফ্যালকন ৯-এ এই কৌশল ব্যবহারে সাফল্য চলে এলেও, ফ্যালকন হেভি-তে এটি নিয়ে আসতে আরও কয়েক বছর লেগে যেতে পারে বলা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।