২০১৬ সালের ডিসেম্বরে আইফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে এক সময় মোবাইল ফোন বাজারে আধিপত্য বিস্তার করা প্রতিষ্ঠানটি। এরপর নোকিয়া জানায়, তারা ১১টি দেশে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মোট ৪০ টি পেটেন্ট মামলা করেছে। এই মামলায় নোকিয়া দাবি করে, ডিসপ্লে, ইউজার ইন্টারফেইস আর ভিডিও এনকোডিংসহ অ্যাপল ৩২টি পেটেন্ট লঙ্ঘন করেছে। চলতি বছর মে মাসে দুই প্রতিষ্ঠান একটি চুক্তি সই করে। এর মাধ্যমে অ্যাপল এই প্রযুক্তিগুলো ব্যবহার করতে পারবে আর নোকিয়া এর জন্য নগদ অর্থ গ্রহণ করবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মামলা দায়েরের পর এক বিবৃতিতে নোকিয়া বলে, “২০১১ সাল থেকে নোকিয়া টেকনোলজিস-এর পোর্টফোলিও থেকে কিছু পেটেন্ট নিয়ে লাইসেন্স করতে সম্মত হওয়ার পর থেকে, অ্যাপল নোকিয়ার পক্ষ থেকে দেওয়া অন্যান্য পেটেন্টগুলোর লাইসেন্স করার প্রস্তাবগুলো ফিরিয়ে দেয়, পরে এই পেটেন্ট করা উদ্ভাবনগুলো অ্যাপলের অনেক পণ্যে ব্যবহার করা হয়েছে।”
নোকিয়ার সঙ্গে পেটেন্ট সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের জের ধরে ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠানটির মালিকানাধীন উইথিংস-এর কোনো পণ্য আর বেচবেনা বলে সিদ্ধান্ত নেয় অ্যাপল। সে সময় অ্যাপলের পক্ষ থেকে বলা হয়, “আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক জ্ঞানকে সম্মান করি এবং আমরা সর্বদাই আমাদের পণ্য সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তির পেটেন্টের অধিকার নিশ্চিত করতে ন্যায্য মূল্য পরিশোধ করতে ইচ্ছুক”।
“দূর্ভাগ্যবশত, নোকিয়া ন্যায্যভাবে তাদের পেটেন্ট লাইসেন্স করানোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। এখন তারা অ্যাপলের নিজস্ব উদ্ভাবন, যেখানে তাদের কিছুই করার নেই এমন খাতে হওয়া আয়ের হার ধার্য করে অ্যাপলের কাছ থেকে বাড়তি অর্থ হাতিয়ে নিতে পেটেন্ট কৌশল ব্যবহার করছে।”
আর মীমাংসার পর নোকিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা “অ্যাপলকে সমর্থন করতে সামনের দিকে তাকিয়ে আছে।” আর অ্যাপলের জেফ উইলিয়ামস বলেন, প্রতিষ্ঠানটি “আমাদের মামলা মীমাংসায় সন্তুষ্ট।”