এলিয়েন খুঁজতে অণুবীক্ষণ যন্ত্র

পৃথিবীর বাইরে অন্য কোনো গ্রহে জীবনের অস্তিত্ব আছে কিনা তা গবেষণা করে বের করবে- এমন এক অণুবীক্ষণ প্রযুক্তি বানাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (ক্যালটেক)-এর গবেষকরা।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 July 2017, 10:43 AM
Updated : 24 July 2017, 08:38 AM

তাদের বানানো ডিভাইসটির নাম দেওয়া হয়েছে ডিজিটাল হলোগ্রাফিক মাইক্রোস্কোপ। এটি মহাকাশে জীবাণুর সন্ধান করবে, বলা হয়েছে প্রযুক্তি সাইট নেক্সট ওয়েব-এর প্রতিবেদনে।

এর আগে ১৯৭৬ সালে ‘ভাইকিং’ মহাকাশ প্রকল্পে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা সক্রিয়ভাবে পৃথিবীর বাইরে জীবনের সন্ধান চালিয়েছিল। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত এই সন্ধান চালানোর সবচেয়ে ভালো উপায় কী হতে পারে তা বিজ্ঞানী সম্প্রদায় স্পষ্ট করে বলেনি। যদিও, অন্য কোনো গ্রহে পানির সন্ধানে অর্থ ও সময় ব্যয় করা হয়েছে। পানির সন্ধানের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে এর ভেতরে আসলে কী আছে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া।

জীবিত কোনো প্রাণিকে পাঠানোর মাধ্যমে এ গবেষণা করতে গেলে, তা আর ফিরে আসবে কিনা তা নিশ্চিত করার কোনো উপায় নেই। মহাকাশে পাওয়া নমুনাগুলো নিয়ে পরীক্ষা চালাতে বিজ্ঞানীদের হাতে প্রচলিত অণুবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই।  

এই ডিভাইসে কোনো বস্তুকে বড় করে দেখাতে লেন্স ব্যবহারের প্রচলিত কৌশল ব্যবহার করা হয়নি। এতে লেজার ব্যবহার করা হয়েছে, যা অণুবীক্ষণিক উপাদানগুলোর ৩ডি নড়াচড়া প্রদর্শন করবে। তারপর এই নড়াচড়া কোনো জড়বস্তুর নাকি কোনো জীবের তা নিয়ে বিশ্লেষণ চালানো হবে।

 

এই ডিভাইসের নড়াচড়া করার মতো কোনো অংশ নেই। গবেষকদের বিশেষ নজরে আছে শনির একটি উপগ্রহ- এনসেলাডাস। এই উপগ্রহের একটি বরফের শেল আছে, এর উষ্ণপ্রস্রবণের মাধ্যমে মহাকাশে বাষ্প ছাড়া হয়। মহাকাশে ক্ষুদ্র অঙ্গাণু থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ক্যালটেক যে ডিজিটাল হলোগ্রাফিক মাইক্রোস্কোপ বানাচ্ছে, তা এনসেলাডাস থেকে ছাড়া বাষ্পে কোনো জীবাণুর অস্তিত্ব আছে কিনা তা খুঁজে বের করবে।

বিজ্ঞানীরা উত্তর মেরুতে এই ডিভাইসের পরীক্ষা চালিয়েছেন। এখন তারা দক্ষিণ মেরুর আরও কঠিন পরিবেশে পরীক্ষা চালানোর পরিকল্পনা করছেন। ক্যালটেক-এর অধ্যাপক জেয় নাদিয়াও বলেন, “আমরা এমন একটি অণুবীক্ষণ যন্ত্র বানানোর চেষ্টা করছি যা পৃথিবীর সবখানে জীবনের সন্ধান করতে আমাদের সক্ষমতা সর্বোচ্চ করবে। কারণ যদি আমরা পৃথিবীর সম্ভাব্য সব কঠিন পরিবেশে জীবনের সন্ধান চালাতে আমাদের সক্ষমতা সর্বোচ্চ করতে পারি তাহলে আমরা অন্যান্য গ্রহে তা সন্ধানে যতোটা সম্ভব কাছাকাছি যেতে পারব।”