মঙ্গলবার এই সমস্যা নিয়ে প্রথম অভিযোগ পাওয়া যায়। ব্যবহারকারীরা অভিযোগ করেন তারা অ্যাপটি দিয়ে ছবি, ভিডিও আর ভয়েস মেসেজ পাঠাতে পারছেন না, তবে টেক্সট মেসেজ নিয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এই সেবায় কনটেন্ট শেয়ার নিয়ন্ত্রণে চীনা সেন্সরশিপ কর্তৃপক্ষের চেষ্টার কারণেই এই সমস্যা হচ্ছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের, বলা হয় আইএএনএস-এর প্রতিবেদনে।
চীনে ইন্টারনেট সেন্সরশিপ পর্যবেক্ষণকারী এনজিও গ্রেটফায়ার ডটঅর্গ শুক্রবার নিশ্চিত করে বলে, এখনও অ্যাপটির স্বাভাবিক সেবা চালু হয়নি।
চীনে কার্যক্রম পরিচালনা করছে এমন বিদেশি সামাজিক মাধ্যম অ্যাপগুলোর মধ্যে ফেইসবুক মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ একটি।
চীনের নিজস্ব ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং সেবা উইচ্যাট রয়েছে। এটি সেবা দেশটির সেন্সরশিপ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা করার মাধ্যমে চলে। এই অ্যাপটি ‘স্পর্শকাতর’ রাজনৈতিক কনটেন্টযুক্ত মেসেজ ও অ্যাকাউন্ট মুছে দিয়ে থাকে। তবে, হোয়াটসঅ্যাপ এমনটা করে না, এই সেবায় সব মেসেজ এনক্রিপটেড অবস্থায় থাকে।
সম্প্রতি চীনা ভিন্নমতালম্বী লেখক নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী লিও শিয়াওবো মারা যান। তার মৃত্যুর সপ্তাহেই তার মৃত্যু নিয়ে সামাজিক মাধ্যমগুলো পোস্ট, ব্যক্তিগত মেসেজ ও গ্রুপ চ্যাটগুলো ব্লক করে দেয় দেশটি।
বর্তমানে দেশটিতে ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের সাইট ও অ্যাপ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। টেলিগ্রামের মতো অন্যান্য এনক্রিপটেড মেসেজিং সেবাগুলোও বন্ধ। বন্ধ করে রাখা হয়েছে গুগলের মতো সার্চ ইঞ্জিনগুলোও, সেই সঙ্গে বিবিসিসহ বিভিন্ন বিদেশি সংবাদ সংস্থার অ্যাকসেস সীমাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
অনেক ব্যবহারকারী ভিপিএন ব্যবহারের মাধ্যমে এমন সীমাবদ্ধতা ভেঙ্গে ফেলছেন। ভিপিএন ব্যবহারে নীতিমালা আরোপের মাধ্যমে এটিও কঠোরভাবে দমনের অঙ্গীকার করেছে চীনা সরকার।