‘প্রতিবন্ধী বৈষম্য’, মামলার মুখে উবার

উবারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের অধিকার আদায়ে কাজ করা দল ও হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীরা। রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানটি শারীরিক প্রতিবন্ধীদের গাড়িতে উঠতে যথেষ্ট পদক্ষেপ না নিয়ে নিউ ইয়র্ক সিটি মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করেছে, এমন অভিযোগে এই মামলা করা হয়েছে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 July 2017, 11:27 AM
Updated : 19 July 2017, 11:27 AM

রয়টার্স-এর খবরে বলা হয়, প্রস্তাবিত এই ক্লাস অ্যাকশন মামলায় বলা হয়েছে, উবার ‘বৈষম্য’ করছে কারণ হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীরা শহরটিতে উবারের ৫৮ হাজারেরও বেশি গাড়ির মধ্যে মাত্র কয়েক ডজন ব্যবহার করতে পারছেন।

উবারের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার কথা উল্লেখ করে ম্যানহাটন অঙ্গরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট-এ দাখিল করা অভিযোগে বলা হয়, ২০২০ সালের মধ্যে শহরের অর্ধেক ‘ইয়োলো ক্যাব’ হুইলচেয়ার প্রবেশেরযোগ্য করতে নিউ ইয়র্ক সিটি’র করা অঙ্গীকার-কে প্রতিষ্ঠানটি ‘যথেষ্ট নিচু করে দেখছে’।

এই মামলার এক বাদী নিউ ইয়র্ক-এর অধিবাসী ভ্যারেলি জোসেফ বলেন, “আমি সবার মতোই আচরণ পেতে চাই। আমরা স্বাভাবিক মানুষ আর আমাদেরও জীবন রয়েছে।” ভ্যারেলি স্পাইনা বিফিডা রোগে আক্রান্ত।

এক বিবৃতিতে উবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের প্রযুক্তি প্রতিবন্ধীদের জন্য “নির্ভরযোগ্য পরিবহনে অ্যাকসেস বাড়িয়েছে।” সেইসঙ্গে “যাদের হুইলচেয়ার প্রবেশের যোগ্য গাড়ি দরকার এমন লোকদের জন্য নির্ভরযোগ্য ও সহজলভ্য সেবা দিতে সমাধানের” চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও দাবি প্রতিষ্ঠানটির।

অভিযোগে বলা হয়, উবার তাদের উবারডাব্লিউএভি সেবার মাধ্যমে হুইলচেয়ার প্রবেশযোগ্য সেবা দিয়ে থাকে। কিন্তু এই সেবা দেওয়া গাড়ির সংখ্যা শহরটিতে একশ’রও কম। অভিযোগে হুইলচেয়ার প্রবেশের যোগ্য পরিবহন ব্যবস্থা দরকার এমন মানুষদের জন্যও ‘পুরোপুরি ও সমান’ সেবা দেওয়ার দাবি করা হয়।

‘ডিজঅ্যাবিলিটি রাইটস অ্যাডভোকেটস’-এর কর্মী রেবেকা সার্বিন বলেন, “যাত্রীদের হয় অনেক সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয় বা তারা যাত্রাই করতে পারেন না।”

“মানবিধাকার আইনটি আদতে নির্দেশ করে কোনো সিটি কাউন্সিল প্রবেশযোগ্যতার উপর কতোটা অঙ্গীকারবদ্ধ। আর উবার ঘোরতরভাবে এই আইন লঙ্ঘন করছে।”

এর আগে শিকাগো আর ওয়াশিংটনেও উবারের বিরুদ্ধে একই রকম মামলা করা হয়েছে।