কাতারের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার সাইট হ্যাকিংয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত-এর হাত ছিল, মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করে মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট। ওই প্রতিবেদনকে ‘মিথ্যা’ আখ্যা দিয়ে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাত-এর পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনওয়ার গারগাশ, বলা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে।
লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান চ্যাটহাম হাউস-কে আনওয়ার বলেন, “আজ ওয়াশিংটন পোস্ট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, আমরা কাতারিস হ্যাকিং করেছি, এটি সত্য নয়।”
চলতি বছর মে মাসে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাম আল-থানি ফিলিস্তিন দল হামাসকে প্রশংসা করে উদ্ধৃতি দেন এবং ইরান-কে ‘ইসলামি শক্তি’ হিসেবে আখ্যা দেন। এরপর ৫ জুন সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মিশর কাতারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। কাতারের সঙ্গে সব কূটনৈতিক ও যোগাযোগ ছিন্ন করে এই দেশগুলো। এক্ষেত্রে এই দেশগুলো দাবি করে, কাতার জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে অর্থায়ন করছে আর তাদের আঞ্চলিক শত্রু ইরানের সঙ্গে জোটবদ্ধ হচ্ছে। দোহা এই অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছে।
গারগাশ বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত তাদের এই নিষেধাজ্ঞা আর বাড়াবে না। এক্ষেত্রে তারা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাছাই করতে বলতো তারা হয় কাতারের সঙ্গে নয়তো সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ব্যবসায় করবে।