ক্যাম্পেইন ফর অ্যাকাউন্টিবিলিটি নামের এ দল ২০০৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে প্রকাশিত জননীতিমালাবিষয়ক ৩২৯টি গবেষণাপত্র শনাক্ত করেছে। এই গবেষণাগুলো সরাসরি বা পরোক্ষভাবে সার্চ জায়ান্টটির অর্থ সহায়তায় হয়েছে, উল্লেখ করা হয়েছে বিবিসি’র প্রতিবেদনে।
পাল্টা অভিযোগ তুলে গুগল বলেছে, যারা গুগলের বিষয়ে এমন গবেষণা করেছে তাদেরকে কারা অর্থ দিচ্ছে সে বিষয়টি তারা প্রকাশ করতে নারাজ। সেই সঙ্গে গুগল গবেষকদের ‘স্বাধীনতা ও বিশুদ্ধতাকে’ প্রাধান্য দেয় বলেও দাবি প্রতিষ্ঠানটির।
গুগলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা প্রচারণা দলটি কয়েকটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করে। এর মধ্যে একটির নাম হচ্ছে ‘দ্য গুগল ট্রান্সপারেন্সি প্রজেক্ট’। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে সার্চ জায়ান্টটির স্বচ্ছতার চর্চা প্রকাশ করা। দলটির নির্বাহী পরিচালক ডেনিয়েল স্টিভেনস বলেন, “গুগল প্রতিটি পর্যায়ে নীতিনির্ধারকদের প্রভাবিত করার চেষ্টায় তাদের বিশাল সম্পদ ও ক্ষমতা ব্যবহার করে। অন্তত, নীতিনির্ধারকদের উচিৎ গুগলের উপর নির্ভর করে করা আইনি ও একাডেমিক কাজগুলোতে সতর্ক থাকা।”
তিনি আরও বলেন, “গুগলের জন্য যা ভালো তা যে দেশের জন্যও ভালো হবে, বিষয়টি এমন নয়। গুগলের অর্থে কাজ করা গবেষকদের উচিৎ তাদের তহবিলের উৎস প্রকাশ করা, যাতে তাদের কাজের সূত্র নিশ্চিত করা যায় আর সরকার সব মার্কিনীর উপকারের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে পারে, শুধু গুগল কর্মী ও শেয়ারধারীদের জন্য নয়।”
দলটির প্রতিবেদনে দেখা যায়, গুগলের অর্থ সহায়তায় কয়েকটি গবেষণা ওই সময়গুলোতে হয়েছে যখন সার্চ জায়ান্টটির ব্যবসায়িক মডেল নীতিনির্ধারকদের হুমকির মুখে ছিল।
এতে আরও বলা হয়, তারা “প্রায়ই কোনটি একাডেমিক গবেষণা আর কোনটি অর্থ পরিশোধ করে করানো প্রচারনা সে তফাৎটা ঝাপসা রাখে।”
এর জবাবে গুগল এক বিবৃতিতে বলে, “গুগলের সৃষ্টি যেহেতু স্ট্যানফোর্ড-এর কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগ থেকেই, তাই আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখি।”
“আমরা কপিরাইট, মুক্তবাক ও নজরাদারিসহ কম্পিউটার বিজ্ঞান ও নীতিমালা বিষয়গুলোতে একাডেমিক গবেষকদের সমর্থন করতে পেরে সন্তুষ্ট।”
“আর আমরা ক্যাম্পেইন ফর অ্যাকাউন্টিবিলিটি-এর জন্য অর্থ তহবিল দেওয়া আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের মতো নেই, আমরা আশা করি ও চাই আমাদের গ্রাহকরা যাতে তাদের তহবিলের উৎস প্রকাশ করে।”
এ বিষয়ে এক বিস্তারিত ব্লগপোস্টে গুগল বলে, প্রচারণা দলটি নিজেদের কর্পোরেট তহবিলদাতাদের নাম প্রকাশের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে যা হাস্যকর।
প্রতিষ্ঠানটি আরও বলে, “একটি তহবিলদাতা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সারা বিশ্ব জানে,ওরাকল। এই প্রতিষ্ঠানটি আমাদের বিরুদ্ধে একটি তথ্যসমৃদ্ধ তদবির প্রচারণা চালাচ্ছে।”