বেহাত হওয়া তথ্যের মধ্যে লেনদেন কার্ডের নাম্বার, কার্ডের নিরাপত্তা কোড রয়েছে। ট্রাম্প হোটেল-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক ঘোষণায় বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সাবরে কর্পোরেশন-এর কেন্দ্রীয় সংরক্ষণ ব্যবস্থা ব্যবহার করে থাকে। ওই ব্যবস্থা লঙ্ঘন হওয়ার মাধ্যমেই এই ঘটনা ঘটেছে।
চলতি বছর মে মাসে সাবরে’র ব্যবস্থায় সাইবার আক্রমণ চালানোর খবর পাওয়া যায়, ডেটা লঙ্ঘন ওই আক্রমণেরই অংশ বলে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী ৩২০০০ প্রতিষ্ঠানে সাবরে’র এই ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়।
ঘোষণায় বলা হয়, চলতি বছর ৫ জুন সাবরে ট্রাম্প হোটেল কর্তৃপক্ষকে তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর এই ডেটা ফাঁস নিয়ে জানায়। এর মধ্যে ট্রাম্প লাস ভেগাস ও ট্রাম্প শিকাগোও রয়েছে।
এই লঙ্ঘনের ফলে ট্রাম্প হোটেল-এর নিজস্ব ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি। ২০১৫ সালের মে মাসের পর থেকে এ পর্যন্ত এই হোটেল চেইন তিনবার এমন ঘটনার সম্মুখীন হল।
আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানটি ডেটা লঙ্ঘন নিয়ে ২০১৬ সালে মীমাংসার জন্য ৫০ হাজার ডলার দিতে সম্মত হয়। ওই লঙ্ঘনে ৭০ হাজার ক্রেডিট কার্ড নাম্বার ও অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য বেহাত হয়।
সাবরে’র তদন্তে দেখা যায়, অননুমোদিত কোনো পক্ষ ২০১৬ সালে ১০ অগাস্ট প্রথমে সংরক্ষিত তথ্যে অ্যাকসেস নয়। সর্বশেষ এমন অ্যাকসেস হয় চলতি বছর ৯ মার্চ।
ট্রাম্প হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ নিয়ে মন্তব্যের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।