বুধবার ‘এয়ারডগ এডি২’ নামের এই ড্রোনটি উন্মোচন করে অ্যাকশন স্পোর্টস ড্রোন নির্মতা স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানটি।
জিপিএসযুক্ত বাহুবন্ধনীর মাধ্যমে গ্রাহককে অনুসরণ করে ড্রোনটি। এয়ারলিশ নামের পানিনিরোধী বাহুবন্ধনী দিয়ে ড্রোনটি ওড়ানো এবং ফ্লাইটের সময় দ্রুত কিছু পরিবর্তন করে নেওয়া যায়, বলা হয়েছে সিএনএন-এর প্রতিবেদনে।
এয়ারলিশ থাকায় এতে অন্যান্য ড্রোনের মতো রিমোট বা স্মার্টফোন অ্যাপের প্রয়োজন হয় না, যা স্পোর্টস ইভেন্টের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সিএনএন-কে প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী এডগারস রোজেনটালস বলেন, “এটি ম্যানুয়ালি চালানোর জন্য তৈরি করা হয়নি। এটি আপনার এমন কার্যক্রমের জন্য তৈরি করা হয়েছে যখন আপনি কোনো প্রযুক্তি নিয়ে চিন্তা করতে চান না।”
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে স্পোর্টস ড্রোনের জন্য উপযুক্ত বাজার তৈরি হয়েছে।
২০১৫ সালে প্রথম ‘ফলো মি’ ড্রোন উন্মোচন করে এয়ারডগ। নতুন আপডেটেড ড্রোনে ৩ডি প্রযুক্তিতে এডি২ এর পথ এবং উচ্চতা প্রোগ্রাম করে দেওয়া যাবে।
গ্রাহক যদি কোনো ঢালু পথ দিয়ে বাইক চালাতে চান তবে তিনি ওই পথটি এয়ারডগ অ্যাপ বা এয়ারলিশ পর্দার মাধ্যমে ঠিক করে দিতে পারবেন, যা গুগল আর্থ-এর সঙ্গে সমন্বয় করে নেওয়া যাবে। রুট ধরে ড্রোনটি গ্রাহককে অনুসরণ করবে এবং গাছ বা বিল্ডিংয়ের মতো বাধাগুলো এড়িয়ে যাবে।
এর পাশাপাশি ড্রোনটি গ্রাহকের গতিবিধি অনুযায়ী চলতে পারে বা তার চারপাশে চক্কর দিতে পারে।
ড্রোনের ডানাগুলো ভাঁজ করে ব্যাগে ঢুকিয়ে নেওয়া যায়। তবে ড্রোনটির কোনো বিল্টইন ক্যামেরা নেই। এর সঙ্গে আলাদা করে গোপ্রো হিরো ৫ ক্যামেরা যোগ করতে হয়।
চলতি বছরের অগাস্টে ড্রোনটি বাজারে আসার কথা রয়েছে। শুরুতে এর মূল্য হবে ৯৯৯ মার্কিন ডলার। পরবর্তীতে এর দাম হবে ১৫০০ ডলার।