এবার নরওয়ে-তে গুগলের বায়ু বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরেই নরওয়ে’র বায়ু বিদ্যুৎ পাওয়ার প্রত্যাশা করছে গুগল। দেশটিতে এটি হবে প্রতিষ্ঠানের প্রথম বায়ু বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্ল্যান্ট।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 July 2017, 09:25 AM
Updated : 6 July 2017, 09:25 AM

৫০টি টারবাইন সম্বলিত ‘টেলেনেস’ নামের প্ল্যান্টটির বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা হবে ১৬০ মেগাওয়াট। নির্মাণ কাজ শেষ হলে এটি হবে নরওয়ে’র সবচেয়ে বড় বায়ু বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট। একইসঙ্গে ইউরোপে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটিরও সবচেয়ে বড় বায়ু বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট হবে এটি, বলা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে।

রয়টার্স-কে গুগলের এক মুখপাত্র বলেন, “বায়ু বিদ্যুৎ প্ল্যান্টটি পুরোপুরি চালু হলেই আমরা এর থেকে শক্তি কেনা শুরু করবো। আমরা ধারণা করছি এটি হবে চলতি বছর সেপ্টেম্বরের শুরুতে।”

আগের বছরই প্ল্যান্টটির শতভাগ বিদ্যুৎ কিনতে ১২ বছরের চুক্তি করেছে গুগল। ফিনল্যান্ড, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস ও আয়ারল্যান্ড-এ চারটি ইউরোপিয়ান ডেটা সেন্টার রয়েছে তাদের। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয় এই ডেটা সেন্টারগুলোর একটি বা কয়েকটি চলবে বায়ু শক্তিতে।

প্ল্যান্ট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জেফায়ার-এর মুখপাত্র ওলাভ রোমেটভেইট বলেন, টেলেনেস প্ল্যান্টটির প্রথম টারবাইন সামনের সপ্তাহ থেকেই বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করবে। যদিও গুগলে এই বিদ্যুৎ পাবে না।

“তাৎক্ষণিকভাবে গুগল সরবরাহ পাবে না। তাদের ১২ বছরের জন্য স্বতন্ত্র চুক্তি রয়েছে এবং বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হওয়ার কোনো এক পর্যায়ে তারা বিদ্যুৎ পেতে শুরু করবে,” বলেন রোমেটভেইট।

তিনি আরও বলেন, গুগল বিদ্যুৎ না পাওয়া পর্যন্ত উৎপাদিত বিদ্যুৎ ‘নর্ড পুল’ শক্তি বিনিময় প্ল্যান্টের কাছে বিক্রি করা হবে।

ইতোমধ্যে সুইডেনেও একটি ছোট বায়ু বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের সঙ্গে চুক্তি করেছে গুগল। ২০১৮ সালে এই প্ল্যান্টের কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এ নিয়ে ইউরোপে প্রতিষ্ঠানটির নবায়নযোগ্য শক্তির পরিমাণ হবে ৫০০ মেগাওয়াট।