প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, খেলোয়াড়ের বয়সের ওপর ভিত্তি করে “বাবা-মায়ের দুশ্চিন্তা দূর করতে” গেইমে সীমাবদ্ধতা আনতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে চীনে শিশুদের অতিমাত্রায় গেইম খেলার অভ্যাস দেখা দেওয়ায় তা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। টেনসেন্ট-এর জনপ্রিয় মোবাইল গেইম কিং অফ গ্লোরি খেলতে শিশুরা যে পরিমাণ সময় ও অর্থ ব্যয় করে তা বাবা-মায়ের দুশ্চিন্তার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, বলা হয়েছে বিবিসি’র প্রতিবেদনে।
সোমবার থেকে দেশটিতে ১২ বছরের কম বয়সী গেইমাররা দিনে মাত্র এক ঘন্টার জন্য গেইমটিতে লগইন করতে পারবেন। আর এর থেকে বেশি বয়সীরা দিনে দুই ঘন্টা গেইমটি খেলার সুযোগ পাবেন তবে, রাত নয়টার আগে।
টেনসেন্ট-এর দাবি তাদের এই পদক্ষেপ দেশটির দ্রুত বর্ধনশীল অনলাইন গেইমিং শিল্পে সবচেয়ে কঠোর পদক্ষেপ।
প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র বলেন, “যদিও চীন এখনও গেইমিং আসক্তি নিয়ে স্পষ্ট কোনো আইন পাশ করেনি, আমরা এর নেতৃত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয় পরিচয় শণাক্তকরণের জন্য তারা আরও ভালো উপার বের করার জন্য কাজ করছেন। ফলে যারা পরিচয় যাচাই করবে না তারা গেইমটি খেলতে পারবেন না।
বর্তমানে কিং অফ গ্লোরি-এর দৈনিক সক্রিয় গ্রাহক বলা হচ্ছে পাঁচ কোটি। দেশটিতে এমন অনেক ঘটনা শোনা গেছে যে, শিক্ষকরা বাবা-মায়ের কাছে শিশুদের অতিমাত্রার গেইমিং অভ্যাস নিয়ে উদ্বেগ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন।
দেশটির গুয়াংঝু-তে ১৭ বছর বয়সী এক গেইমার টানা ৪০ ঘন্টা গেইম খেলায় মস্তিষ্কের সমস্যায় পড়েছেন বলেও জানা গেছে।
বেশ কিছু দেশেই অতিমাত্রায় অনলাইন গেইমিং এখন চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এজন্য অনেক দেশেই ভিন্ন ভিন্ন পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে।
মধ্যরাত থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের অনলাইন গেইমিং নিষিদ্ধ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। আর জাপানে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট সময়ের বেশি গেইম খেলা হলে পপ-আপ উইন্ডোর মাধ্যমে সতর্ক করা হয়।