মানহানি, অপরাধমূলক প্রবর্তনা ও সহিংসতার হুমকি নিয়ে জার্মানির আইন কড়াকড়ির দিক থেকে বিশ্বে অন্যতম, বলা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে। হত্যাকাণ্ড ঘটানো বা সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর ক্ষেত্রে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে দেশটিত। কিন্তু এই আইনে খুব কম মামলারই বিচার হয়েছে বলে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়।
এই আইনে নিশ্চিত অপরাধমূলক কনটেন্টগুলো সরাতে বা ব্লক করতে সামাজিক মাধ্যমগুলোকে ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে, আর কিছুটা অস্পষ্ট কনটেন্ট নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে যে ব্যক্তি কনটেন্ট নিয়ে অভিযোগ করেছেন তাকে কীভাবে তার অভিযোগ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে সে সম্পর্কে জানাতে বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়েছে।
কোনো সামাজিক মাধ্যম এই পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে, প্রতিষ্ঠানটি পাঁচ কোটি ইউরো পর্যন্ত জরিমানার মুখোমুখি হতে পারে। এমনকি জার্মানিতে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান প্রতিনিধিকেও গুণতে হতে পারে ৫০ লাখ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা।
জার্মান ইহুদীদের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল এই আইন-কে স্বাগত জানিয়েছে।
দেশটির বিচার মন্ত্রী হেইকো মাস বলেন, “জংলী ইন্টারনেট আইনের দিন শেষ করতে’ নেওয়া পদক্ষেপ মুক্তবাকের লঙ্ঘন হতে পারে না।”
বর্ণবাদ ও অভিবাসীদের নিয়ে ভুয়া সংবাদ ছড়ানোর ফলে চলতি বছর ২৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনে দেশটির নাগরিকদের মত ঘুরে যেতে পারে- এমন শংকায় জার্মান রাজনীতিবিদরা বিষয়টিকে আরও গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন।
অন্যদিকে ডিজিটাল প্রতিষ্ঠান, ভোক্তা ও সাংবাদিকদের প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থাগুলোর অভিযোগ, সরকার সংসদের মাধ্যমে এমন একটি আইন আনছে যা মুক্তবাক-কে ব্যহত করতে পারে।
এর জবাবে সরকার ইমেইল ও মেসেঞ্জার সেবাগুলোকে এর বাইরে রেখে বিধানটির কড়াকড়ি কমিয়েছে। সেইসঙ্গে কোন কনটেন্ট সরানো হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যৌথ পর্যবেক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এটি স্পষ্ট যে একবার এই আইনের ব্যত্যয় ঘটলেই যে এই জরিমানা করা হবে তা নয়। কিন্তু কোনো প্রতিষ্ঠান যদি এই আইন প্রত্যাখ্যান করে বা সঠিক অভিযোগ ব্যবস্থাপনা স্থাপন না করে তবেই এই জরিমানা করা হতে পারে।