মঙ্গলবার রাশিয়া ও ইউক্রেইনে শুরু হওয়ার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কয়েক ডজন প্রতিষ্ঠান নতুন এই সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছে। আর বুধবার এটি এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে, বলা হয়েছে আইএএনএস-এর প্রতিবেদনে।
“যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউড়ি এজেন্সি বা এনএসএ-এর ব্যবহৃত এটারননাল ব্লু ত্রুটি ও মাইক্রোসফটের অপারেটিং সিস্টেমের অন্যান্য দূর্বলতা ব্যবহার করেই” এই কম্পিউটার ভাইরাস ছড়াচ্ছে বলে সিসকো’র সাইবার নিরাপত্তা বিভাগের গবেষণায় পাওয়া গেছে।
চলতি বছর মে মাসে আঘাত হানা র্যানসমওয়্যার ‘ওয়ানাক্রাই’-এর সঙ্গে নিয়েটিয়া’র অনেক মিল রয়েছে, বলেন ক্রেইগ উইলিয়ামস। ওয়ানাক্রাই র্যানসমওয়্যারের বিশ্বব্যাপী তিন লাখেরও বেশি কম্পিউটার আক্রান্ত হয়েছিল।
ক্রেইগ সিসকোর সাইবার নিরাপত্তা কর্মকর্তা। সিসকো নিয়েটিয়া-কে ওয়ানাক্রাইয়ের ‘ব্যাড কাজিন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
মঙ্গলবারের এই সাইবার হামলায় রাশিয়ার সবচেয়ে বড় তেল কোম্পানি ও দেশটির বিভিন্ন ব্যাংক, ইউক্রেইনের রাজধানী কিয়েভের প্রধান বিমানবন্দর এবং খ্যাতনামা ডেনিশ শিপিং ফার্ম এ পি মোলা-ম্যার্স্ক’র নেটওয়ার্ক আক্রান্ত হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
ইউক্রেইনের রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানসহ আরও কিছু কোম্পানি আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম উইনডোজনির্ভর সেন্সরগুলো অচল হয়ে পড়ায় চেরনোবিল পররমাণু কেন্দ্রে তেজস্ক্রিয়ার মাত্রা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, এই সাইবার হামলার কারণে ব্রিটিশ বিজ্ঞাপনী সংস্থা ডব্লিউপিপি তাদের আইটি সিস্টেমে বিঘ্ন ঘটার কথা জানিয়েছে।
রুশ সাইবারসিকিউরিটি ফার্ম ক্যাসপারেস্কি ল্যাব পোল্যান্ড, ইতালি, জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রেও সাইবার হামলা শনাক্ত করার কথা জানিয়েছে।