এই অ্যাপটি চিকিৎসক ও সেবিকাদের রোগীর কিডনি সমস্যা শনাক্ত করতে সহায়তা করে। লন্ডনের রয়াল ফ্রি হাসপাতালে চালুর পর এটি বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল বলে বিবিসি’র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এই অ্যাপকে ১৬ লাখ রোগীর রেকর্ডে অ্যাকসেস দেওয়া উচিৎ হবে কিনা তা নিয়েই ওই বিতর্কের শুরু।
নতুন চুক্তিতে কোনো রোগী না চাইলে তার ডেটা শেয়ারের কোনো অপশন রাখা হয়নি বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি।
ডিপমাইন্ড গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রতিষ্ঠান, যদিও এই অ্যাপ তৈরিতে এআই যুক্ত করা হয়নি। এই প্রতিষ্ঠানের অধীনে একটি স্বাস্থ্য বিভাগ রয়েছে, এই বিভাগ যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসেস-এ ব্যবহৃত হবে এমন প্রযুক্তি বানাতে আগ্রহী।
চিকিৎসক ও সেবিকারা স্ট্রিম অ্যাপটিকে স্বাগত জানালেও, গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এনএইচএস ডেটা শেয়ার করবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
অন্যদিকে ডিপমাইন্ড-এর পক্ষ থেকে বরাবরই দাবি করা হয়, কোনো ডেটা মূল প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শেয়ার করা হয় না।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ডেটা গার্ডিয়ান প্রধান-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রোগীদের অবশ্যই ডেটা শেয়ার ও অংশীদারিত্ব চুক্তি সম্পর্কে জানাতে হবে। অ্যাপটি নিয়ে এখনও দেশটির তথ্য কমিশনার-এর কার্যালয় তদন্ত চালাচ্ছে।
আরও কিছু নেতিবাচক শিরোনামের প্রেক্ষিতে ডিপমাইন্ড রোগীদের সঙ্গে তাদের স্বাস্থ্য পরিকল্পনা নিয়ে আরও খোলা থাকার প্রতিশ্রুতি করেছে।