বুধবার প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র বলেন, বিনিয়োগকারীদের তীব্র চাপের মুখে পদত্যাগ করেন কালানিক-- খবর রয়টার্স-এর।
মার্কিন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক হোল্ডারের মাসব্যাপী তদন্ত কার্যক্রম শেষ হওয়ার পরপরই পদত্যাগ করলেন কালানিক। প্রতিষ্ঠানের সংস্কৃতি ও কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ নজরদারি করতে হোল্ডারকে নিয়োগ দেয় উবার। প্রতিষ্ঠানের সাবেক কর্মী সুজান ফাওলার যৌন হয়রানির অভিযোগ আনায় প্রতিষ্ঠানে তদন্ত শুরু করেন হোল্ডার।
প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে অবিলম্বে সরে দাঁড়ানোর জন্য কালানিককে চিঠি পাঠায় উবারের পাঁচ মূল বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান, এর মধ্যে ভেনচার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান বেঞ্চমার্ক রয়েছে। শিকাগোতে থাকাকালীন তাকে এই চিঠি দেওয়া হয় বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।
চিঠির শিরোনামে বলা হয়, “উবারকে সামনে এগিয়ে নিচ্ছি।” বিনিয়োগকারীরা আরও জানায়, প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে পরিবর্তন দরকার।
বিষয়টি নিয়ে অন্তত একজন উবার বোর্ড সদস্য এবং বেশ কিছু বিনিয়োগকারীর সঙ্গে কয়েক ঘন্টা আলাপ করে পদত্যাগ করতে রাজী হন কালানিক। পদত্যাগ করলেও বোর্ড সদস্য থাকছেন তিনি।
পদত্যাগের ব্যাপারে কালানিক বলেন, “আমি বিশ্বের অন্য সব কিছুর চেয়ে উবারকে ভালোবাসি এবং আমার ব্যক্তিগত জীবনের কঠিন সময়ে আমি বিনিয়োগকারীদের অনুরোধে পদত্যাগ করছি, যাতে করে বিভ্রান্তিকর একটি লড়াইয়ের বদলে উবার গঠনের দিকে ফিরে যেতে পারে।”
আগের সপ্তাহে কর্মীদের তিনি বলেন উবারের কঠিন সময় পার করতে সময় নেবেন। এরপর ধারণা করা হয় ছুটিতে যাবেন তিনি। কিন্তু এবার চাপের মুখে পদত্যাগই করেছেন কালানিক।