অ্যাপলের দাবী সফল হলে কোয়ালকম-এর ব্যবসায়িক মডেলের মূল তত্ত্ব দুর্বল হতে পারে, বলা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে কোয়ালকমের বিরুদ্ধে মামলা করে অ্যাপল। মামলায় বলা হয় কোয়ালকম অনৈতিকভাবে অ্যাপলের একশ’ কোটি মার্কিন ডলার আটকিয়ে রেখেছে কারণ অ্যাপল কোয়ালকম-এ তদন্ত করতে কোরিয়ান নীতি নির্ধারকদের সহায়তা করেছে।
অ্যাপলের প্রাথমিক মামলার পরিধি ছিল সংকীর্ণ। নীতি নির্ধারকদের সহায়তা করে অ্যাপল কোয়ালকম-এর সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে বলা হয় এতে। কিন্তু আগের মাসে উৎপাদনকারী এবং ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য নতুন নীতিমালার আওতায় অ্যাপল কোয়ালকমের ব্যবসায়িক মডেলে পরিবর্তন আনার দাবী করায় মামলা নতুন মোড় নেয়।
মে মাসে প্রতিষ্ঠানের পণ্য ব্যবহার ও পুনরায় বিক্রির ক্ষেত্রে উৎপাদনকারী এবং ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর কঠোর নীতিমালার ঘোষণা দেয় মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট।
মঙ্গলবার অ্যাপলের এক বিজ্ঞপ্তিতে দেখা গেছে কোয়ালকমের ব্যবসায়িক নীতি পরিবর্তনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে অ্যাপল। চিপ কেনার সময় গ্রাহকের সঙ্গে যে লাইসেন্স চুক্তি করা হয় তা পরিবর্তন করতে চাচ্ছে তারা। কোয়ালকমের এই নীতিমালাকে বলে হয়, “লাইসেন্স নয় তো কোনো চিপ নয়।”
অ্যাপলের দাবী কোয়ালকম হয় পেটেন্ট লাইসেন্স অথবা চিপের জন্য মূল্য নেবে, দু’টোর জন্য নয়। লাইসেন্স চুক্তি ছাড়াই চিপ কিনতে চায় তারা।
এছাড়া চুক্তিভিত্তিক পণ্য নির্মাতা তাইওয়ানিজ প্রতিষ্ঠান ফক্সকন-সহ অ্যাপলের অন্য তিন আইফোন অ্যাসেম্বল প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোয়ালকমের মামলাও বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।