রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউস সরকারের তথ্য প্রযুক্তি ব্যবস্থা আপডেট করতে, খরচ কমাতে ও সেবা উন্নত করতে চায়। সোমবার ট্রাম্প প্রত্যাশিত হিসাবের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, সরকার এসব পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে সামনের ১০ বছরে এক ট্রিলিয়ন ডলার খরচ বাঁচাতে পারে। তিনি বলেন, “প্রযুক্তি বিপ্লবের সঙ্গে সরকারের তাল মেলানো দরকার।”
অ্যাপল প্রধান টিম কুক বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের উচিৎ সবচেয়ে আধুনিক সরকার হওয়া। কিন্তু আজ এটি তা নয়।”
অ্যামাজন প্রধান জেফ বেজোস বলেন, তিনি চেয়েছেন ট্রাম্প প্রশাসন প্রযুক্তি, কর্মীদের পুনরায় প্রশিক্ষণ, মেশিন লার্নিং ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বাণিজ্যিক ব্যবহার চালু করবে।
ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের আগে প্রযুক্তি কর্তারা ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স, অর্থমন্ত্রী স্টিভ মানচিন, বাণিজ্য মন্ত্রী উইলবার রস ও ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি আর ওহাইয়ো স্টেট ইউনিভার্সিটি-এর প্রেসিডেন্ট-এর সঙ্গে ১০টি ছোট বৈঠক করেন।
টিম কুক, মাইক্রোসফট প্রধান নির্বাহী সাত্যিয়া নাদেলা ও জেফ বেজোস ছাড়াও বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যালফাবেট চেয়ারম্যান এরিক স্মিড, ভেনচার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান ক্লেইনার পার্কিন্স চেয়ারম্যান জন ডয়ের, আইবিএম প্রধান গিনি রমেটি, ইনটেল প্রধান গর্ডন মুর, কোয়ালকম প্রধান নির্বাহী স্টিভেন মলেনকফ, ওরাকল প্রধান নির্বাহী, অ্যাডোবি সিস্টেমস-এর প্রধান নির্বাহী শান্তানু নারায়েন উপস্থিত ছিলেন। ফেইসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গ-কে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তিনি সে সময় অন্য কাজ থাকায় উপস্থিত হতে পারেননি বলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।