ভারতে ইন্টারনেট বন্ধে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘিত’

ইন্টারনেট আর ফোন সেবার উপর ভারতের ‘ইচ্ছামত নিষেধাজ্ঞা’ তুলে নেওয়া উচিৎ বলে মত দিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।  

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 June 2017, 01:35 PM
Updated : 16 June 2017, 01:35 PM

সংস্থাটি বলে, ২০১৭ সালের দেশটির প্রাদেশিক সরকারগুলো সাময়িকভাবে ইন্টারনেট বন্ধের ২০টি পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশটির কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা অস্থিতিশীল অবস্থায় গুজব সরানো বন্ধে ইন্টারনেট আর টেলিযোগাযোগ সেবাগুলো বন্ধ করেন। কিন্তু মানবাধিকার সংস্থাটির দাবি, ইচ্ছামত ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়ার মাধ্যমে “আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের অধীনে ভারতের আইনি বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন হচ্ছে”- খবর বিবিসি’র।  

দেশটির কর্তৃপক্ষ নিয়মিতভাবেই ভারত-অধ্যুষিত কাশ্মিরে টেলিযোগাযোগ সেবা বন্ধ করছে। চলতি মাসের শুরুতে, কৃষকদের আন্দোলন সহিংস রূপ নিলে দেশটির মহারাষ্ট্র প্রদেশের সরকার ইন্টারনেট সেবাগুলো বন্ধ করে দেয়।  

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর দক্ষিণ এশীয় পরিচালক মিনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেন, সামাজিক মাধ্যমের অপব্যবহার নিয়ে কর্তৃপক্ষের উদ্বেগ ‘সামাজিক অস্থিতিশীলতা প্রতিরোধে প্রাথমিক সমাধান হওয়া উচিৎ নয়’।

তিনি বলেন, “অহিংস প্রতিবেদন করা ও সরকারের সমালোচনা বন্ধই তাদের উদ্দেশ্য-- স্বচ্ছতার অভাব আর এই নিষেধাজ্ঞাগুলোর ব্যাখ্যা দেওয়ার ব্যর্থতা এমন ধারণাই প্রকাশ করে।” যদিও ভারতে সামাজিক মাধ্যমে “সহিংসতার সময় গুজব বেড়ে যায়” বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। কিন্তু এসব আন্দোলনের সময় সরকারকে সেবাগুলো পুরোপুরি বন্ধ না করার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, “নেটওয়ার্কগুলো পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার জায়াগায়, কর্তৃপক্ষ সামাজিক মাধ্যমগুলোকে সহিংসতায় নিরুৎসাহিত করা ও জনগণের মধ্যে শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে ব্যবহার করতে পারে।”