তার প্রতিষ্ঠান ছাড়ার বিষয়টি সিএনএন-কে নিশ্চিত করেছেন উবারের এক মুখপাত্র। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা উবার ছেড়েছেন। এদের মধ্যে মাইকেল এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সবচেয়ে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
উবারের সাবেক প্রকৌশলী সুসান ফাওলার যৌন হয়রানির অভিযোগ আনলে চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে এ নিয়ে তদন্ত চালানো হয়। সম্প্রতি এই তদন্তের ফলাফল প্রকাশ করেন সাবেক মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক হোল্ডার। এতে ২০ জন কর্মীকে বহিষ্কার করার পাশাপাশি বেশ কিছু কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা বলা হয়।
তদন্তের ফলাফলের পরপরই মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদন বল হয়, হোল্ডার পরামর্শ দিয়েছেন মাইকেল-কে প্রতিষ্ঠান ছাড়তে হবে।
রোববার মাইকেল-এর প্রতিষ্ঠান ছাড়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বোর্ড সভা বসে। তর্ক বিতর্কে এই সভা সাত ঘন্টা পর্যন্ত চলে।
প্রতিষ্ঠানের বাইরে ও ভেতরে বিতর্কিত ব্যক্তি ছিলেন মাইকেল। ২০১৪ সালে সাংবাদিকদের নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করায় শিরোনামে আসেন তিনি। মাইকেল বলেন যেসব সাংবাদিক প্রতিষ্ঠানের জন্য জটিল উবার তাদের নিয়ে গবেষণা করতে পারে।
পরবর্তীতে মাইকেল-এর এমন মন্তব্যকে “ভয়ানক” দাবী করেন কালানিক। কিন্তু তাকে প্রতিষ্ঠানেই রেখে দেওয়া হয়।
২০১৪ সালে কালানিক এবং অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি ‘এসকর্ট বার’ ভ্রমণ করতে দেখা গেছে মাইকেলকে। এ ছাড়া মাইকেল ভারতের নয়া দিল্লীতে এক উবার চালকের দ্বারা ধর্ষিত নারীর মডিক্যাল রিপোর্ট দেখে চেপে গিয়েছেন বলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।