২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংক-এর সুইফট টার্মিনালে অ্যাকসেস নিয়ে ৮.১০ কোটি ডলার হাতিয়ে নেয়। সেই সঙ্গে ঘটে আরও কিছু সফল-অসফল হ্যাকিংয়ের ঘটনা। এর ফলে এক সময় পুরোপুরি নিরাপদ হিসেবে দেখা এই নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাটির উপর থাকা আস্থায় চিড় ধরে, বলা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে।
২০১৬ সালে সুইফট-এর কর ও দায় শোধের আগের লাভের অংক আগের বছরের চেয়ে ৩১ শতাংশ কমে ৪.৭০ কোটি ইউরো হয়েছে, শুক্রবার নিজেদের বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি।
বেলজিয়ামভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফিন্যান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশন (সুইফট)-এর চেয়ারম্যান ইয়াওয়ার শাহ নিরাপত্তার লক্ষ্যে ব্যবস্থাপনা ও প্রণোদনার বিষয় যুক্ত করেছেন। গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট পরিচালনার ক্ষেত্রে দুর্বলতা শনাক্তে ব্যর্থ হওয়ায় এর আগে সাবেক কর্মী আর গ্রাহকদের কাছে সমালোচনার শিকার হয় প্রতিষ্ঠানটি। এবার গ্রাহকদের লেনদেন পর্যবেক্ষণ ও অস্বাভাবিক কিছু শনাক্ত করতে নিজেদের নিরাপত্তা দলের পরিসর বাড়ানোর সঙ্গে নতুন কিছু টুল বানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এ দিকে সুইফট-এর দাবি, গ্রাহকরা হ্যাকিংয়ের বিষয়ে তথ্য শেয়ার করতে ব্যর্থ হওয়ায় এ ধরনের আক্রমণ প্রতিরোধে প্রতিষ্ঠানটির সক্ষমতা সীমাবদ্ধ ছিল।
গ্রাহকদের লেনদেনে থাকা বাড়তি অর্থ সর্বনিম্ন মূল্যে আবার পরিশোধ করে দেয় সুইফট। ২০১৫ সালে এই অর্থের পরিমাণ ৩.৩০ কোটি ইউরো থাকলেও, ২০১৬ সালে এমন কোনো অর্থ পরিশোধ করা হয়নি।