এক বছররেরও বেশি সময় আগে এশিয়ায় উবার-এর ব্যবসায় পরিচালনাকারী এরিক আলেক্সান্ডার এই মেডিকেল রেকর্ড উবার প্রধান ট্রাভিস কালানিক-এর সঙ্গে শেয়ার করেছিলেন। আলেক্সান্ডার এখন আর অ্যাপভিত্তিক ট্যাক্সি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করেন না বলে বিবিসি-কে নিশ্চিত করেছে উবার, কিন্তু এ নিয়ে আর কোনো মন্তব্য করেনি প্রতিষ্ঠানটি।
এ দিকে প্রযুক্তি সাইট রিকোড বলছে, সাইটটির পক্ষ থেকে এ খবর নিয়ে উবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরই আলেক্সাডার-কে বহিষ্কার করা হয়। সাইটটি জানায়, কালানিক ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট এমিল মাইকেল-ও এ রেকর্ড দেখেছেন। এই ধর্ষণ মামলা উবার-এর প্রতিদ্বন্দ্বী রাইড-শেয়ারিং ভারতীউ প্রতিষ্ঠান ওলা’র সাজানো ছিল- উবার এমন ধারণা বিবেচনা করছিল বলেও সাইটটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিবিসি’র কাছে উবারের এমন অভিযোগকে ‘জঘন্য’ বলে মন্তব্য করেছে ওলা। এক ইমেইলে প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র বলেন, “ভয়ংকর একটি অপরাধের গুরুত্ব কমানোর চেষ্টায় একজন নারীর গোপনীয়তা ও নৈতিকতাকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দেওয়ার এ বিষয়টি লজ্জার।”
“প্রতিযোগিতা ঠেকাতে এমন বিষয়কে সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করা নিয়ে কেউ কল্পনা করাও জঘন্য। এই প্রতিবেদন যদি কিছুটাও সত্য হয়, এটি নৈতিকতার সর্বনিম্ন পর্যায় আর একটি প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত চরিত্রের প্রতিচ্ছবি।”
এর আগে মঙ্গলবার উবার যৌন হয়রানি ও অন্যান্য বাজে আচরণের অভিযোগে ২০ কর্মীকে বরখাস্তের ঘোষণা দেয়।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে উবার চালক শিব কুমার যাদব দিল্লির ২৬ বছর বয়সী এক নারীকে ধর্ষণ করেন। এ মামলায় যাদবকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ওই সময় উবার বলেছিল, “যৌন নিপীড়ন একটি জঘন্য অপরাধ আর তাকে এখন বিচারের আওতায় আনায় আমরা সন্তুষ্ট।” সেই সঙ্গে এই “হৃদয়বিদারক মামলা থেকে শিক্ষা পেয়ে” নিরাপত্তা বাড়ানোর কথাও জানায় প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু এই মামলায় দিল্লিতে উবারের ব্যবসায় নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়, ২০১৫ সালের জুনে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।
কিন্তু পর্দার আড়ালে উবার কর্মকর্তারা ওই নারীর অভিযোগের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে আসছিলেন। এ নিয়ে ভারতীয় প্রতিদ্বন্দ্বী ওলা’র দিকেও আঙ্গুল তুলে তারা।
ওই অপরাধ মামলায় ওই নারী উবারের বিরুদ্ধেও মামলা করেছিলেন, যা পরে আদালতে নিষ্পন্ন হয়।