সন্ত্রাসীদের জন্য ‘প্রতিকূল’ হবে ফেইসবুক

সন্ত্রাসীদের জন্য নিজেদের সামাজিক মাধ্যমটিতে ‘প্রতিকূল পরিবেশ’ তৈরি করতে চায় ফেইসবুক। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের লন্ডনে এক সন্ত্রাসী হামলায় সাতজন নিহত হন, এ নিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে পদক্ষেপ নিতে বলার পর এ কথা বলল বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যমটি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 June 2017, 11:57 AM
Updated : 5 June 2017, 11:57 AM

সাধারণ নির্বাচনের মাত্র চারদিন আগে শনিবার রাতে লন্ডন ব্রিজে ভিড়ের মধ্যে ভ্যান চালিয়ে দেওয়ার পর ছুরি হাতে সাধারণ মানুষের ওপর চড়াও হয় তিন হামলাকারী। ওই হামলায় সাতজন নিহত এবং অন্তত ৪৮ জন আহত হন। তিন হামলাকারী পরে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট লন্ডন ব্রিজ হামলার দায় স্বীকার করে বার্তা পাঠায়।

এই আক্রমণের পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে উগ্রপন্থীদের ঠেকাতে ঢেলে সাজানো একটি কৌশল আনার আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে ইন্টারনেটে আরও বড় পরিসরে আন্তর্জাতিক নীতিমালা প্রণয়নের দাবিও জানান তিনি। তার মতে, উগ্রপন্থী আদর্শ তৈরিতে ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানগুলো আংশিকভাবে দায়ী।

রোববার লন্ডন হামলার ঘটনায় ফেইসবুকের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করা হয় বলে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

“আমরা চাই ফেইসবুক সন্ত্রাসীদের জন্য একটি প্রতিকূল পরিবেশ হয়ে উঠবে”, এক ইমেইল বার্তায় এ কথা বলেন ফেইসবুকের নীতিমালা পরিচালক সিমন মিলনার।

“ব্যবহারকারীদের মতামত আর প্রযুক্তির সমন্বয়ে আমাদের প্লাটফর্ম থেকে সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত সব ধরনের কনটেন্ট নিয়ে জানার পর যত দ্রুত সম্ভব সরিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছি- আর যদি আমাদের কোনো পদক্ষেপে কারও ক্ষতির আশঙ্কা থাকে তাহলে আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সে বিষয়ে অবহিত করছি।”

এর আগে মে ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের প্লাটফর্মগুলোতে পোস্ট করা কনটেন্টগুলো নিয়ে আরও দায়িত্ব নিতে চাপ দিয়েছিলেন। আসন্ন নির্বাচনে জয়ী হলে পুরো খাতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে নীতিমালার খরচ অর্থায়নে আরও ক্ষমতা তৈরির অঙ্গীকার করেন।

এদিকে, নিজেদের ওয়েবসাইটে সন্ত্রাসী প্রজ্ঞাপন ছড়ানো ঠেকাতে কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারও।

“টুইটারে সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত কনটেন্ট-এর কোনো স্থান নেই,” যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত টুইটারের নীতিনির্ধারক নিক পিকলেস এক বিবৃতিতে এই কথা বলেন। ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে তারা প্রায় চার লাখ টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন বলেও জানান তিনি। 

“এই পদক্ষেপ বজায় রাখতে এ ধরনের কনটেন্ট অপসারণে আমরা সামনের দিনগুলোতে প্রযুক্তির ব্যবহার আরও বাড়াব।”