অবশেষে মহাকাশে বাংলাদেশের ন্যানো স্যাটেলাইট

এটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন আইএসএস-এ পৌঁছানোর পর একে কক্ষপথে স্থাপন করা হবে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 June 2017, 07:14 AM
Updated : 4 June 2017, 07:17 AM

প্রতীক্ষার পালা কাটিয়ে অবশেষে ৪ জুন মধ্যরাতে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে বাংলাদেশের বানানো প্রথম ন্যানো স্যাটেলাইট ‘ব্র্যাক অন্বেষা’।

বাংলাদেশের ব্র্যাক অন্বেষা দলের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, “আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে পৌঁছানো ও ন্যানো স্যাটেলাইটটি কক্ষপথে স্থাপন নিয়ে আপডেট পরবর্তীতে যথাসময়ে জানানো হবে।” দলটির প্রতি সমর্থন, প্রার্থনা, উৎসাহ, প্রেরণার জন্য সবাইকে ধন্যবাদও জানায় তারা।

৪ জুন বাংলাদেশ সময় মধ্যরাত তিনটার দিকে মহাকাশযান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স আর মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা’র সিআরএস-১১ অভিযানে স্পেসএক্স-এর ফ্যালকন ৯ রকেটে করে এই ন্যানো স্যাটেলাইট পাঠানো হয়। এই উৎক্ষেপণ-এর ঠিক আগ মূহুর্তে নাসা’র এক বিবৃতিতে বলা হয়, “ফ্লোরিডায় আমাদের কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলীয় স্থানীয় সময় বিকাল ৫টা ৭মিনিটে ফ্যালকন ৯ রকেট উৎক্ষেপণ করা হবে।”

জাপানে বাংলাদেশের ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী রায়হানা শামস ইসলাম অন্তরা , আবদুল্লা হিল কাফি ও মাইসুন ইবনে মানোয়ার ‘ব্র্যাক অন্বেষা’ নামের এই ন্যানো স্যাটেলাইট বানান। উৎক্ষেপণের পর এক ভিডিও পোস্টে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তারা। ওই ভিডিওতে মাইসুন বলেন, এটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস)-এ পৌঁছানোর পর একে কক্ষপথে স্থাপন করা হবে। তারপর আমরা এটি থেকে সিগন্যাল পাওয়া শুরু করলেই পুরো কাজ সম্পন্ন হবে।

 

বাংলাদেশের ন্যানো স্যাটেলাইট যাত্রা গবেষক ড. আরিফুর রহমান খান-এর হাত ধরেই শুরু। উৎক্ষেপণের পর নিজের ফেইসবুক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, “মহাকাশে বাংলাদেশ...।”

আইএসএস থেকে ন্যানো স্যাটেলাইটটি স্থাপন করা্র সেই “সবচেয়ে প্রত্যাশিত” দিনটি এক সপ্তাহের মধ্যে জানা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কাফি। উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে অন্তরা বলেন, “বাংলাদেশিদের হাতে বানানো স্যাটেলাইট, (একদম ভেতরে যতো সার্কিট আছে সব আমাদের নিজেদের হাতে বানানো) মহাকাশে গেছে, এর চেয়ে বেশি আনন্দ আর কী হতে পারে?”  

এ দিকে ন্যানো স্যাটেলাইটের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে ব্র্যাক বিশ্বিবিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসের ৪ নাম্বার ভবনে বানানো হয়েছে গ্রাউন্ড স্টেশন। সামনে পরিকল্পনা কি এমন প্রশ্নের জবাবে এই গ্রাউন্ড স্টেশন নির্মাতা দলের দলনেতা মোহাম্মদ সৌরভ বলেন, “এবার হয়েছে মেইড বাই বাংলাদেশ, আমাদের ইচ্ছা সামনে মেইড ইন বাংলাদেশ স্যাটেলাইটও হবে।”