বিবিসি-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের মার্চে ক্লিনিকটিতে হ্যাকিং চালিয়ে তথ্য হাতিয়ে নেয় হ্যাকারদল। এর মধ্যে পাসপোর্ট এবং ক্রেডিট কার্ডের তথ্যও রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে লিথুয়ানিয়া’র পুলিশ।
হ্যাকিংয়ের পর মার্চেই ২৫ হাজার ছবি অনলাইনে পোস্ট করে হ্যাকাররা। পরবর্তীতে ৩০ মে ডেটাবেইজের বাকি অংশ পোস্ট করেছে দলটি।
এ ঘটনায় ডেনমার্ক, জার্মানি, নরওয়ে এবং যুক্তরাজ্যের সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে দুই হাজার ইউরো পর্যন্ত মুক্তিপণ দাবী করা হয় বলে জানানো হয়েছে।
লিথুয়ানিয়ান পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, এটি নিশ্চিত নয় ঠিক কতজন রোগী এর শিকার হয়েছেন। তবে, বেশ কিছু গ্রাহক এমন মুক্তিপণের দাবী পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে আরও বলা হয় টিসার টিম নামের একটি দল এই তথ্য চুরি এবং ফাঁসের সঙ্গে জড়িত।
এপ্রিলে একটি দল দাবী করে তারা এই হ্যাকিং চালিয়েছে। আর ক্লিনিকের দুর্বল কম্পিউটার সিস্টেমের জন্য “ছোট ক্ষতিপূরণ” হিসেবে ৩৪৪০০০ ইউরো দাবী করেন তারা।
ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ অর্থ পরিশোধ করতে অস্বীকৃতি জানালে তথ্য অনলাইনে ফাঁস করে দেয় হ্যাকার দল।
মঙ্গলবার ডেটাবেইজ ফাঁস করার পর লিথুয়ানিয়ান সংবাদ সাইটে বলা হয় পুরো ডেটাবেইজের জন্য ১১৩৫০০ ইউরো দাবী করেছে হ্যাকার দলটি। তারা জানায় অনেক গ্রাহকই নিজেদের ডেটা মুছে ফেলতে হ্যাকারদের অর্থ দিয়েছেন।