হোমল্যান্ড সিকিউরিটির প্রধান জন কেলি বলেন, এক্ষেত্রে সত্যিই হুমকি ছিল আর সন্ত্রাসীরা মার্কিন কোন প্লেন নামিয়ে দেওয়ার ধারণায় ‘আচ্ছন্ন’ ছিল।
ইতোমধ্যে আটটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশ থেকে আসা আর ওই দেশগুলোর উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ছাড়া ফ্লাইটগুলোতে যাত্রীদের ল্যাপটপ বহন নিষিদ্ধ করেছে মার্কিন সরকার। এ খবর প্রকাশের দুই সপ্তাহ আগে কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন- যুক্তরাষ্ট্র আর ইইউ দেশগুলোর মধ্যে এ নিষেধাজ্ঞা আনা হবে না।
কিন্তু কেলি’র এই মন্তব্যের পর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে, বলা হয়েছে বিবিসি’র প্রতিবেদনে।
কোনো ডিভাইসে বোমা লুকানো থাকতে পারে এমন আশংকার কারণেই এই নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
রোববার কেলি ফক্স নিউজ-এর এক অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে বোমা হামলার পর সন্ত্রাস ঠেকাতে মার্কিন প্রচেষ্টা নিয়ে কথা বলেন। অনুষ্ঠানের উপস্থাপক সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে ল্যাপটপ নিষিদ্ধ করা হবে কিনা তা জিজ্ঞাসা করলে তিনি জবাবে বলেন, “করতে পারি। আমরা এখনও গোয়েন্দাদের দিকে তাকিয়ে আছি।”
“এটি আসলেই একটি বড় ধরনের হুমকি আর কী হচ্ছে তা দেখার আগ পর্যন্ত আমি সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না।”
চলতি বছর মার্চে যুক্তরাষ্ট্র তুরস্ক, মরক্কো, জর্দান, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, সৌদি আরব আর কুয়েত-এর ফ্লাইটগুলোতে যাত্রীদের ‘স্মার্টফোনের চেয়ে বড়’ ডিভাইস বহন নিষিদ্ধ করে দেয়। যুক্তরাজ্য ছয়টি দেশের জন্য একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।