রোববার এক ফেইসবুক পোস্টে বলেন, “কেউ কেউ জিজ্ঞাসা করছেন এই ‘চ্যালেঞ্জ’-এর মানে সরকারি পদের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি কিনা।” এই চ্যালেঞ্জের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “এর উদ্দেশ্য হচ্ছে আমরা ফেইসবুকের আমাদের প্রায় দুইশ’ কোটি মানুষের সম্প্রদায়কে আমাদের সর্বোচ্চ সেবা দিচ্ছি ও চ্যান জাকারবার্গ ইনিশিয়েটিভ-এর মাধ্যমে সমান সুযোগ প্রচারণায় সর্বোত্তম কাজ করছি তা নিশ্চিত করা।”
২০১৬ সালের ডিসেম্বরের শুরুতে ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে জানায়, জাকারবার্গ তার প্রতিষ্ঠানের শেয়ার পুনর্গঠন চুক্তিতে এমন একট ধারা রেখেছেন যার সঙ্গে তার প্রেসিডেন্ট প্রার্থীতার সম্ভাবনার সম্পর্ক রয়েছে। সেই সঙ্গে জাকারবার্গ-এর নিজের ফেইসবুক প্রোফাইল ছবি তুলতে সাবেক হোয়াইট হাউস ফটোগ্রাফার-কে নিয়োগ দেওয়া, বারাক ওবামা’র সাবেক প্রচারণা কর্মী ডেভিড প্লাফ ও জর্জ ডাব্লিউ বুশ-এর সাবেক প্রচারণা কর্মী কেন মেলম্যান-কে সিজেডআই-এ নিয়োগ দেওয়ার মাধ্যমে গুঞ্জনটা আরও পোক্ত হয়।
এক সূত্রের বরাতে মার্কিন সাইট বাজফিড জানায়, জাকারবার্গ ব্যাক্তিগতভাবে এসব গুঞ্জন অস্বীকার করলেও তিনি রাজনৈতিকভাবে আরও বেশি সক্রিয় হতে পারেন।
২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শতকোটিরও বেশি ব্যবহারকারীর সাইট ফেইসবুকে ভুয়া সংবাদ ছড়ানো নিয়ে সমালোচনায় বারবার শিরোনামে আসেন জাকারবার্গ। কিন্তু তিনি বরাবরই পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন।
চ্যান জাকারবার্গ ইনিশিয়েটিভ (সিজেডআই)-এর জন্যই কাজ অব্যাহত রাখবেন বলে চলতি বছর জানুয়ারিতে জানান তিনি। ২০১৫ সালে তিনি এই দাতব্য সংস্থায় তার হাতে থাকা ফেইসবুকের শেয়ারের ৯৯ শতাংশ দান করে দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।