উন্নত জ্বালানি কার্যকর গাড়ি তৈরিতে কাজ করার আশা প্রকাশ করেছে ‘২০১৭ শেল ইকো ম্যারাথন এশিয়া’তে অংশ বাংলাদেশি দল ‘টিম রেড-এক্স’।
Published : 21 May 2017, 06:06 PM
সিঙ্গাপুরে ১৬ মার্চ থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত লুব্রিকেন্ট নির্মাতা ‘শেল’ আয়োজিত শেল ইকো ম্যারাথন প্রতিযোগিতার এই আসরে দ্বিতীয় বাংলাদেশি দল হিসেবে অংশ নিয়েছিল ‘টিম রেড-এক্স’। প্রাকৃতিক জ্বালানী সম্পদের ঘাটতিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে আয়োজিত প্রতিযোগিতাটির দুটো শ্রেণিতে বাংলাদেশ, ভারত, ভিয়েতনাম, কোরিয়া, চীন, ইন্দোনেশিয়াসহ মোট ২০টি দেশের ১২৩টি দল অংশ নেয়।
অন্যান্য দেশের ১২৩ টি দলের মধ্যে বাংলাদেশের পেট্রোল ফিউয়েল সিস্টেমেচালিত গাড়ি ‘স্বাধীন – ৭১’ প্রথম ভ্যালিডিটি রান অর্জনসহ আরবান কনসেপ্ট গ্যাসোলিন শ্রেণিতে নবম ও সম্মিলিত আইসিই শ্রেণিতে ১৯ তম স্থান দখল করে। অন্যদিকে, দেশ হিসেবে দলটি ‘পঞ্চম’ অবস্থানে ছিল।
২০১৫ সালে এই প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ থেকে অংশ নিয়েছিল একই বিশ্ববিদ্যালয়ের দল অভিযাত্রিক-এর বানানো গাড়ি বিডি-৭১।
নাহিয়ান মুহাম্মদ নাফীসের নেতৃত্বে ‘টিম রেড- এক্স’ দলের সদস্যরা হলেন - আজিজুল বারি জাবের, মুহাম্মদ আফনান মনির, মুহাম্মদ ফাহিম আহমেদ, আশিকুর রাহমান রাফি, প্রীতম ভৌমিক ও মেহরাব খান মুন।
তিনি আরও বলেন, “আমাদের প্রযুক্তিটি ব্যবহারের মাধ্যমে আগামীতে আরও জ্বালানিবান্ধব কার্যকরী গাড়ি তৈরি করার জন্যে চেষ্টা করে যাব। এ ছাড়াও আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করার পাশাপাশি দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং কারিগরী কলেজগুলোতে আমাদের প্রতিযোগিতার ধারণা শেয়ার করে তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করব।”
“অন্যান্য দেশে থেকে অংশ নেয়া গাড়িগুলো তাদের নিজ দেশের অটোমোবাইল প্রতিষ্ঠান থেকে কারিগরি সমর্থনের মাধ্যমে তৈরি হওয়ায় বাংলাদেশের চেয়ে বেশি ভাল ফলাফল পেয়েছে” মন্তব্য নাহিয়ান-এর।
‘স্বাধীন-৭১’ নামের ১৮৫ কেজি’র গাড়িটিতে ৮০ সিসির ফোর স্ট্রোক মটর সাইকেল ইঞ্জিন ও গাড়ির উন্নয়নে কার্বোরেটরের পরিবর্তে ইএফআই (ইলেকট্রনিক ফিউয়েল ইনজেকশন) কিট ব্যবহৃত হয়েছে।
গাড়িটি তৈরির কাজ ২০১৬ সালের নভেম্বরে শুরু হয়। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে এটি বানাতে সক্ষম হয়েছিলেন নির্মাতারা। এটি নির্মাণে প্রায় তিন লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
জাবের তার লক্ষ্য সম্পর্কে বলেন, ‘আমাদের দেশ অটোমোবাইল সেকশনে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় অনেক পিছিয়ে, বাংলাদেশকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে অটোমোবাইলে নিয়ে কাজ করে যেতে চাই।”
এই গাড়ি তৈরিতে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক মো. জুবায়ের হোসাইন, সহকারী অধ্যাপক ড. মো. দেওয়ান হাসান ও প্রকোশলী মো. শাহ আলম-এর সহযোগিতা করেছেন বলে জানায় দলটি।
দলটির উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. জুবায়ের হোসাইন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিশ্বের বৃহত্তম অটোমোবাইল প্রতিযোগিতা ‘শেল ইকো ম্যারাথনে’ দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সফলভাবে অংশগ্রহণ করতে পারায় আমরা গর্বিত। আগামীতে যথাযথ তহবিল পেলে আমাদের ছাত্র ছাত্রীরা আরও ভাল কাজ করবে”।