এক ব্লগ পোস্টে প্যানিক প্রতিষ্ঠাতা স্টিভেন ফ্র্যাঙ্ক স্বীকার করে বলেন, তিনি ভিডিও এনকোডিং টুল হ্যান্ডব্রেইক-এর একটি ম্যালওয়্যার আক্রান্ত কপি ডাউনলোডের পর এমনটা ঘটেছে। কোনো গ্রাহক ডেটা অ্যাকসেস হওয়ার কোনো আভাস এখনও পাওয়া যায়নি ও প্যানিক-এর ওয়েব সার্ভার আক্রান্ত হয়নি বলে দাবি তার।
এ ঘটনায় ব্যবহারকারীদের শুধু প্যানিক ওয়েবসাইট বা অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর থেকেই অ্যাপ ডাউনলোড করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়েব এডিটিং ও ফাইল ট্রান্সফার লেনদেন কোডা ও ট্রান্সমিট আর ভিডিও গেইম ফায়ারওয়াচ এই প্রতিষ্ঠানেরই বানানো।
২ মে হ্যান্ডব্রেইক হ্যাকড হয়, সাইটটির ডাউনলোড সার্ভারে অ্যাপটির ম্যাক সংস্করণ অন্য একটি ক্ষতিকর কপি দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়। ৬ মে আক্রান্ত অ্যাপটির সন্ধান পাওয়ার পর তা সরিয়ে ফেলা হয়।
এই ঘটনাকে “অস্বাভাবিক দুর্ভাগ্য” হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন ফ্র্যাঙ্ক। তিনি হ্যান্ডব্রেইক-এর ক্ষতিকর কপিটি ডাউনলোড করেছেন ও সতর্ক না হয়েই তা চালু করে দিয়েছেন। অ্যাপটি কেন হঠাৎ অ্যাডমিন পাওয়ার্ড চাইছে তা তিনি দ্বিতীয়বার ভাবেননি।
“আর তাই হয়েছে, আমার ম্যাক তিন সেকেন্ড বা তারও কম সময়ে আক্রান্ত হয়ে যায়”, বলেন ফ্র্যাঙ্ক।
তারপর আক্রমণকারী ওই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে অন্যান্য গোপনীয় ফাইলে অ্যাকসেস নিয়ে নেয়। সেই সঙ্গে আক্রান্ত কম্পিউটারে সংরক্ষিত বিভিন্ন প্যানিক পণ্যের সোর্স কোড কপি করে নেয়।
ডেটা যে বেহাত হয়ে গেছে তা নিশ্চিত হয় যখন প্যানিক একটি মেইল পায়, এ মেইলে কয়েকটি ফাইল ছিল ও পুরো কোড ফেরত দিতে মুক্তিপণ চাওয়া হয়।
ফ্র্যাঙ্ক বলেন, “আমরা এখন যে ধারণার উপর কাজ করছি তা হচ্ছে অর্থ পরিশোধের কোনো যুক্তিই নেই।”
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত করছে। অ্যাপ স্টোরে যাতে আর কোনো ক্ষতিকর বা ভুয়া অ্যাপ না থাকে তা নিশ্চিত করতে অ্যাপলের সঙ্গে কাজ করছে প্যানিক।
“এজন্য আমার নিজেকে বিরাট নির্বোধ মনে হয়েছে”, আত্মসমালোচনা করে বলেন ফ্র্যাঙ্ক। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “এটি একটি ভালো রিমাইন্ডার-- আপনি কম্পিউটারের সঙ্গে কতটা অভিজ্ঞ তা বিষয় নয়, আপনি মানুষ আর ভুল খুব সহজেই হতে পারে।”