গাড়ির সুরক্ষায় ব্ল্যাকবেরি সফটওয়্যার

গাড়ির ইলেক্ট্রনিক সিস্টেমে ভাইরাস শণাক্তকরবে এমন নিরাপত্তা সেবা চালু করার পথে আগাচ্ছে কানাডিয়ান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ব্ল্যাকবেরি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 May 2017, 01:10 PM
Updated : 17 May 2017, 01:10 PM

প্রতিষ্ঠানটির নতুন নিরাপত্তা সফটওয়্যার দূর থেকেই গাড়ির ভাইরাস স্ক্যান করতে পারবে। আর এতে ঝুঁকিপূর্ণ কিছু পাওয়া গেলে চালককে সতর্ক করবে সফটওয়্যারটি, বলা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে।

নতুন এই নিরাপত্তা সেবা চালু করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই অন্তত দু’টি গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করছে ব্ল্যাকবেরি, এমনটা জানিয়েছেন বিশ্লেষণা প্রতিষ্ঠান ম্যাকুইরে’র বিশ্লেষক গুস পাপাজর্জিও।

আপাতত বিলাসবহুল গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাস্টন মার্টিন এবং রেঞ্জ রোভার-এর গাড়িতে সফটওয়্যারটি পরীক্ষা করা হবে। তবে, সাধারণ গাড়িগুলোতেও এই সফটওয়্যার ব্যবহার করা যাবে বলে উল্লেখ করা হয়।

অ্যাপল এবং অন্যান্য স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে স্মার্টফোন ব্যবসায় শীর্ষত্ব হারানোর পর এবার গাড়ির নিরাপত্তা সফটওয়্যার দিয়ে আয় বাড়ানোর প্রয়াশ করছে ব্ল্যাকবেরি।

এ ব্যাপারে জানতে ব্লাকবেরি কিউএনএক্স বিভাগের দুই মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। আর অ্যাস্টন মার্টিনের মুখপাত্র ম্যাথিউ ক্লার্ক এক ইমেইলে বলেন, তিনি তার প্রতিষ্ঠানে এমন কোনো পণ্য পরীক্ষার ব্যাপারে জানেন না। রেঞ্জ রোভার-এর মূল প্রতিষ্ঠান জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার-এর পক্ষ থেকেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

সামনের বছর শুরুর দিকে যত দ্রুত সম্ভব সেবাটি চালু করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গাড়ি প্রতি ব্ল্যাকবেরি মাসে ১০ মার্কিন ডলার নেবে বলে ধারণা প্রকাশ করেছেন পাপাজর্জিও। ১৫ বছর ধরে ব্ল্যাকবেরি পর্যালোচনা করছেন এই বিশ্লেষক।

বর্তমান সময়ের গাড়িগুলো ক্রমেই আধুনিক হচ্ছে। অনেকগুলো কম্পিউটারের মাধ্যমে গাড়িগুলো এখন একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। এই সিস্টেমের যেমন সুবিধা রয়েছে তেমনি কিছু বিপত্তিও রয়েছে।

“যদিও একটি সংযুক্ত এবং আরও বেশি সফটওয়্যারকেন্দ্রিক গাড়ি গ্রাহককে অসাধারণ কিছু সুবিধা দিয়ে থাকে, একই সঙ্গে সেটি হ্যাকারদের জন্যও দ্বার উন্মোচন করে,” বলেন পাপাজর্জিও।

২০১৫ সাল থেকে সাইবার সিকিউরিটিতে গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর আগ্রহ নাটকীয়ভাবে বাড়তে দেখা গেছে। এ বছরই দু’জন হ্যাকিং বিশেষজ্ঞ ফিয়াট ক্রাইসলার গাড়িতে ত্রুটি বের করার পর ১৪ লাখ গাড়ি ফেরত নেয় নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।