অ্যাপটির নতুন ফেইস-ট্র্যাকিং ক্যামেরা ফিল্টারে ব্যবহারকারীর বিচিত্র ধরনের মুখ দেখানো হবে। একই ধরনের ফিচার অনেক আগে থেকে ব্যবহার করে আসছে স্ন্যাপচ্যাট, বলা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে।
নতুন ফিচারের মাধ্যমে আটটি ফিল্টারের মধ্য থেকে পছন্দেরটি বাছাই করতে পারবেন গ্রাহক। আর গাণিতিক সূত্র দিয়ে ছবি এবং ভিডিওতে কৌতুকপূর্ণ ‘ইফেক্ট’ তৈরি করা যাবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
ক্যামেরা ফিল্টারের পাশাপাশি নতুন সংস্করণে ভিডিও ‘রিওয়াইন্ড মোড’ রেখেছে ইনস্টাগ্রাম। ফলে গাহক ভিডিও উল্টো দিকে চালাতে পারবেন। আর হ্যাশট্যাগ দেওয়া পেইজগুলোর জন্য হ্যাশট্যাগ স্টিকারও চালু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
স্ন্যাপচ্যাটের ফিচার নকল করাটা নতুন কিছু নয়। সাম্প্রতিক সময়ে ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য আরও কয়েকটি মেসেজিং অ্যাপ স্ন্যাপচ্যাটের ফিচার নকল করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর ফেইসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম এর আগেও এটির বেশ কিছু ফিচার নকল করেছে।
সম্প্রতি স্ন্যাপচ্যাট-এর স্টোরিজ ফিচার নকল করে ফেইসবুক। পরবর্তীতে স্ন্যাপচ্যাট-এর ‘সিক্রেট চ্যাট’ ফিচার নকল করে ভাইবার।
সিক্রেট চ্যাট ফিচারের মাধ্যমেই প্রথমবার জনপ্রিয়তা পায় স্ন্যাপচ্যাট। এই ফিচারের মাধ্যমে মেসেজে সময় নির্ধারণ করে দেওয়া যায়। ফলে নির্দিষ্ট সময় পর মেসেজটি নিজে থেকেই মুছে যায়।
ক্যামেরা ফিল্টার চালু করা হলেও স্ন্যাপচ্যাটের মতো আপাতত এতে ‘স্পনসর্ড লেন্স’ রাখছে না ইনস্টাগ্রাম। ‘স্পনসর্ড লেন্স’-এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপণদাতারা নিজেদের বিজ্ঞাপণী ফিল্টার এতে যোগ করতে পারেন।
নতুন এই ফিচারে স্ন্যাপচ্যাটের সঙ্গে আদৃশ্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ইনস্টাগ্রাম-এর পণ্য প্রধান কেভিন ওয়েইল বলেন, “আমরা যদি আমাদের নিজেদের সঙ্গে সৎ হই, তবে বলতে হবে এভাবেই আসলে প্রযুক্তি শিল্প কাজ করে, খোলাখুলিভাবে বলতে গেলে সব শিল্পই এভাবে চলে।”
এর আগে স্ন্যাপচ্যাটের স্টোরিজ ফিচার যোগ করে ইনস্টাগ্রাম। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয় চলতি বছরের এপ্রিলে প্রতিদন ২০ কোটির বেশি গ্রাহক স্টোরিজ ফিচার ব্যবহার করেছেন।
চলতি বছর মার্চে শেয়ারবাজারে যাত্রা শুরু করা স্ন্যাপচ্যাট-এর বাজারমূল্য প্রায় ২৮০০ কোটি মার্কিন ডলার। মার্চ-এর শেষ পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী স্ন্যাপ-এর মোট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৬ কোটি ৬০ লাখ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।