এই সাইবার হামলায় অন্তত ১৬টি (৪০টি পর্যন্তও হতে পারে) এনএইচএস সংস্থা আক্রান্ত হয়েছে, বলা হয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক মার্কিন সাইট বিজনেস ইনসাইডার-এর এক প্রতিবেদনে। এই আক্রমণের কারণে সংস্থাগুলোর কম্পিউটার সিস্টেম বন্ধ হয়ে গেছে ও মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে। এর ফলে বন্ধ হয়ে গেছে হাসপাতালের কার্যক্রম, অপারেশনগুলো বা বাতিল করা হয়েছে, চিকিৎসকরা আগের মতো কাগজে কলমে কাজ শুরু করতে বাধ্য হয়েছেন।
বিশ্বব্যাপী অন্তত ৭৪টি দেশে এই ম্যালওয়্যার শনাক্ত করা হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে স্প্যানিশ টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান টেলিফোনিকা থেকে শুরু করে পণ্যবাহক প্রতিষ্ঠান ফেডএক্সও।
প্রধানমন্ত্রী মে’র দাবি, এই আক্রমণে এনএইচএস-কে লক্ষ্য হিসেবে নেওয়া হয়েছিল বলে বিশ্বাস করে না যুক্তরাজ্য সরকার। তিনি বলেন, “এটি এনএইচএস-কে লক্ষ্য করে করা হয়নি, এটি একটি আন্তর্জাতিক হামলা আর একাধিক দেশ ও সংস্থা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।”
“কোনো রোগীর ডেটা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া নিয়ে আমরা এখনও কোনো প্রমাণ পাইনি।”
নিরাপত্তা গবেষকদের ধারণা, এখনও পরিচয় শনাক্ত না হওয়া আক্রমণকারীরা মাইক্রোসফট উইন্ডোজ সফটওয়্যারের ত্রুটি কাজে লাগিয়ে এই ‘র্যানসমওয়্যার’ আক্রমণ চালায়। এর আগে এই ত্রুটির খরব অনলাইনে ফাঁস হয়ে গেলে মাইক্রোসফট একটি সফটওয়্যার প্যাচ আনে। কিন্তু অনেক ব্যবহারকারীই তাদের কম্পিউটারের উইন্ডোজ আপডেট না করায় কম্পিউটারগুলো নিরাপত্তাহীন অবস্থায় রয়ে যায়।
মে আরও বলেন, “এ নিয়ে উদ্বিগ্ন সংস্থাগুলোকে সমর্থন ও রোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার এনএইচএস ডিজিটাল -এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।”
এর আগে ২০১৬ সালের নভেম্বরে যুক্তরাজ্যের লিনকনশায়ারে এক সাইবার হামলার ঘটনায় আগে থেকে ঠিক করে রাখা কয়েকশ' অপারেশন আর হাসপাতালের বহির্বিভাগের রোগী দেখা বাতিল করতে হয়েছিল।
নর্দান লিনকনশায়ার অ্যান্ড গুলে এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট (এনএলইজি) নামের ওই হাসপাতাল সেবাদাতা ট্রাস্ট সে সময় জানায়, রোববার তাদের কম্পিউটার ব্যবস্থা একটি ভাইরাসের কারণে আক্রান্ত হয়েছে। একে একটি 'বড় ঘটনা' হিসেবেই বিবেচনা করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।