টিন্ডার ব্যবহারকারীদের ছবি ফাঁস!

ডেটিং অ্যাপ টিন্ডার থেকে হাজার হাজার ব্যবহারকারীর প্রোফাইল পিকচার হাতিয়ে নিয়েছেন এক প্রোগ্রামার। শুধু হাতিয়ে নিয়েই ক্ষান্ত হননি, ওয়েবে ছবিগুলো প্রকাশও করে দিয়েছেন তিনি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 May 2017, 11:33 AM
Updated : 3 May 2017, 11:33 AM

এই ডেটাসেটে মোট ৪০ হাজার ছবি আছে- যার অর্ধেক পুরুষের আর অর্ধেক নারীর। কিন্তু এখন ডেটাসেটটি অফলাইনে চলে গেছে, বলা হয়েছে বিবিসি’র প্রতিবেদনে। স্টুয়ার্ট কলিয়ানি নামের ও প্রোগ্রামার ছবিগুলোর ক্যাশে একত্র করতে একটি প্রোগ্রাম লিখেন, এ ক্ষেত্রে তার উদ্দেশ্য ছিল মেশিন লার্নিং বিষয়ে গবেষণায় তা ব্যবহার করা।  

এ দিকে টিন্ডার কলিয়ানি’র বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটির নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে।

প্রযুক্তি সাইট টেকক্রাঞ্চ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ডেটাসেটে বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া’র স্যান ফ্রানসিসকো’র পাশে বে এরিয়া’র হাজার হাজার টিন্ডার ব্যবহারকারীর ছবি রয়েছে। কয়েকজন ব্যবহারকারীর প্রোফাইল থেকে একাধিক ছবিও নিয়ে নেওয়া হয়েছে।

একটি ওয়েব পেইজে ওই প্রোগ্রামার বলেন, “টিন্ডার আপনাকে কয়েক মাইল দূর থেকে হাজারো লোকের আছে অ্যাকসেস দেয়।” তিনি মানুষের চেহারা নিয়ে আরও বিস্তারিত ডেটা একত্র করার জন্য একটি উপায় খুঁজছিলেন। “একটি উন্নত, আরও বড় ফেসিয়াল ডেটাসেট বানাতে কেন টিন্ডারকে উপায় হিসেবে নেব না?”

ছবিগুলো থাকা ফোল্ডারগুলোকে তিনি কেগল-এর সঙ্গে যুক্ত করেন। কেগল হচ্ছে ওয়েব জায়ান্ট গুগল পরিচালিত একটি সেবা যা প্রোগ্রামারদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রোগ্রাম নিয়ে পরীক্ষা চালানোর সুযোগ দেয়। 

ফেসিয়াল রিকগনিশন কাজের জন্য ছবির বিশাল সংগ্রহশালায় এআই অ্যালগরিদমকে প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু কী উদ্দেশ্যে কলিয়ানি এটি করছিলেন তা এখনও স্পষ্ট নয়, বলা হয় বিবিসি’র প্রতিবেদনে। যদিও সপ্তাহ শেষে তিনি জানিয়েছেন তিনি ছবিগুলো সরিয়ে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, “আমি কেগল-এর প্রতিনিধিদের কাছ থেকে শুনেছি, আর তারা টিন্ডার-এর কাছ থেকে এই ডেটাসেট সরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ পেয়েছেন।”

টিন্ডার-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, “এই ব্যাক্তি আমাদীর নীতিমালা (সেকশন ১১) লঙ্ঘন করেছে আর আমরা উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছি ও এ নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছি।” 

এই অ্যাপ ব্যবহার করছেন এমন যে কারও কাছে প্রোফাইল পিকচারগুলো উন্মুক্ত বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।