এর আগে অ্যাপলের পক্ষ থেকে কখনও স্বীকার করা হয়নি তারা স্বচলিত গাড়ির প্রযুক্তি নিয়ে আদৌ কাজ করছে। আর গাড়িটি বৈদ্যুতিক হবে কিনা সেটি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তবে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কিছু গাড়ি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেওয়ায় তাদের পরিকল্পনার কিছুটা ধারণা পাওয়া যাচ্ছিল।
এবার এই অনুমোদনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির পরিকল্পনার স্পষ্টতা প্রকাশ পেয়েছে। শুক্রবার অঙ্গরাজ্যটির ডিপার্টমেন্ট অফ মোটর ভেহিকল (ডিএমভি)-এর অনুমোদনে বলা হয়েছে তিনটি গাড়িতে ছয়জন চালক নিয়ে পরীক্ষা চালাতে পারবে অ্যাপল। এক্ষেত্রে ২০১৫-এর লেক্সাস আরএক্স৪৫০এইচ মডেলের গাড়ি ব্যবহার করা হবে বলেও জানানো হয়।
এ বিষয়ে পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান থিওডোর অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস-এর প্রেসিডেন্ট ক্রিস থিওডোর বলেন, “বহুদিন ধরে যা গুজব চলে আসছিল এটি তা নিশ্চিত করে, অ্যাপল অন্তত স্বয়ংক্রিয় গাড়ির প্রতিযোগিতায় কিছুটা হলেও অংশ নিচ্ছে।” ফোর্ড মোটর কোম্পানি এবং ক্রাইসলার-এর সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্টও ছিলেন থিওডোর।
তিনি আরও বলেন, “অনুমোদনের মানে এই না যে অ্যাপল নিশ্চিতভাবে গাড়ি বানাচ্ছে। যেমনটা গুজব ছড়িয়েছে তেমনটা হওয়াও জরুরী নয়। তারা সফটওয়্যার বা স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির জন্য হার্ডওয়্যারও তৈরি করতে পারে।”
এ ব্যাপারে সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি অ্যাপলের এক মুখপাত্র। তবে, আগের বছর নভেম্বরে ট্রাফিক সেইফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এর কাছে স্বচালিত গাড়ির নীতিমালা নিয়ে একটি চিঠি লেখা হয় বলে জানান তিনি।
পাঁচ পৃষ্ঠার ওই চিঠিতে অ্যাপলের পণ্য বিশুদ্ধতা বিভাগের পরিচালক স্টিভ কেনার বলেন, “মেশিন লার্নিং এবং স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তিতে প্রতিষ্ঠানটি অনেক বিনিয়োগ করছে এবং তারা অনেক ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় সিস্টেমের সম্ভাবনা নিয়ে উচ্ছসিত, এর মধ্যে যাতায়াত ব্যবস্থাও রয়েছে।”
এর আগে অ্যাপল প্রধান টিম কুকও এ প্রকল্পের কিছুটা ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেন, তারা গাড়ির ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেমে শুধু অ্যাপল স্মার্টফোনের অন্তর্ভূক্তি নয়, এর বাইরেও কিছু করতে চায়।
ইতোমধ্যেই শীর্ষস্থানীয় গাড়ি নির্মাতা ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এই খাতে পুরোদমে কাজ করছে। অনেক প্রতিষ্ঠানই ২০২০ সালের মধ্যে গাড়ি উন্মোচনের কথাও জানিয়েছে। তবে, সমালোচকরা মনে করছেন নীতিমালার কারণে তা উন্মোচন করতে আরও দেরী হবে।
খবর প্রকাশের আগের দিন বৃহস্পতিবার অ্যাপলের শেয়ার মূল্য ০.৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪১.০৫ মার্কিন ডলার।