এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত গোপন এক সূত্রের বরাত দিয়ে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত হেল সফটওয়্যারের মাধ্যমে লিফট চালকদের ট্র্যাক করেছে উবার।
এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভুয়া গ্রাহক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লিফট চালকদের অবস্থান বের করে উবার। এতে চালকদের ঠকিয়ে আশপাশের আটজন লিফট চালকের অবস্থান জানতে পারে উবার। আর এটি বিভিন্ন স্থানে ব্যবহার করে পুরো শহরেই লিফট চালকদের ওপর নজরদারী করতে পারে প্রতিষ্ঠানটি।
লিফট চালকদের অবস্থান বের করে তাদের ফাঁকি দিয়ে যাত্রীদেরকে নিজেরা সেবা দিচ্ছে উবার এমন কথাও বলা হয়েছে প্রতিবেদনে। লিফট সিস্টেমের দূর্বলতার কারণে চালকদের আইডি টোকেনও জানতে পারে উবার।
প্রতিষ্ঠানের এমন কর্মকাণ্ড প্রমাণিত হলে মামলায় জড়াতে পারে উবার। অবৈধ প্রতিযোগিতা, বাণিজ্যিক তথ্যের অপব্যবহার, কম্পিউটার জালিয়াতি এবং চুক্তি অবমাননার অভিযোগ আনা হতে পারে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে জানতে উবার-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
সাম্প্রতিক সময়ে বেশ চাপের মুখে রয়েছে উবার। অনেক দেশেই প্রতিষ্ঠানের সেবা বন্ধের জন্য আন্দোলন চলছে। এরই মধ্যে কিছু দেশে উবারের সেবা বন্ধও করা হয়েছে। ১৮ এপ্রিল ডেনমার্কে বন্ধ হচ্ছে উবার। এ ছাড়া ৭ এপ্রিল ইতালিতে উবার বন্ধের জন্য রায় দিয়েছে দেশটির আদালত।