ইউটিউবে অর্থ আয়, দরকার হবে ১০ হাজার ভিউ

১০ হাজার ভিউ পাওয়ার আগ পর্যন্ত নিজেদের চ্যানেল থেকে অর্থ আয় করতে পারবেন না ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউব-এর ভিডিও সরবরাহকারীরা, বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানায় মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যালফাবেট মালিকানাধীন গুগলের এই প্রতিষ্ঠানটি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 April 2017, 10:55 AM
Updated : 7 April 2017, 10:55 AM

কোনো একটি চ্যানেল এই সীমায় পৌঁছানোর পর চ্যানেলটি প্রতিষ্ঠানের কোনো নীতিমালা লঙ্ঘন করে কিনা তা যাচাই করে দেখবে ইউটিউব। এ যাচাইয়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি দেখবে ওই চ্যানেল অর্থ আয় করার উপযুক্ত কিনা, বলা হয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক মার্কিন সাইট বিজনেস ইনসাইডার-এর প্রতিবেদনে।  

প্রতারণার মাধ্যমে কনটেন্ট নির্মাতারা এই প্লাটফর্ম থেকে অর্থ আয় করে প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা লঙ্ঘন করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে এমন কনটেন্ট সরবরাহকারীদের নিরুৎসাহিত করার সহায়তায় নতুন এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে এক ব্লগপোস্টে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

ইউটিউব-এর পণ্য ব্যবস্থাপনাবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যারিয়েল বারডিন বলেন, “কয়েক সপ্তাহের মধ্যে, ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম (ওয়াইপিপি)-এর জন্য আবেদন করা নতুন নির্মাতাদের জন্য আমরা একটি যাচাই প্রক্রিয়া চালু করতে যাচ্ছি। একজন নির্মাতা তার চ্যানেলে ১০ হাজার লাইফটাইম ভিউ পাওয়ার পর আমরা তাদের কার্যক্রম আমাদের নীতিমালা লঙ্ঘন করে কিনা তা যাচাই করব।”

“যদি সবকিছু ঠিক থাকে, আমরা ওই চ্যানেলকে ওয়াইপিপি-তে নিয়ে আসব আর তাদের কনটেন্টে বিজ্ঞাপন দেওয়া শুরু করব। নতুন এই সীমার মাধ্যমে নীতিমালা মেনে চলা নির্মাতারাই যে শুধু অর্থ আয় করছেন তা নিশ্চিত হবে।”

ধর্ষণ সমর্থক, ইহুদিবিদ্বেষ আর ঘৃণা প্রচারকদের তহবিল যোগাতে ব্যবহৃত হচ্ছে কিছু বিজ্ঞাপন- সম্প্রতি এমন অভিযোগের মুখে পড়ে ইউটিউব। এর ফলে গুগল সার্চ থেকে আড়াইশ’রও বেশি প্রতিষ্ঠান তাদের বিজ্ঞাপন সরিয়ে নেয়, একই পদক্ষেপ নেয় যুক্তরাজ্য সরকারও।

এ নিয়ে চলতি বছর মার্চে গুগলের অ্যালগরিদম এমন ভুল আর করবে না- এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারবেন কিনা জানতে চাইলে অ্যালফাবেট প্রধান এরিক স্মিড বলেন, “আমরা এর নিশ্চয়তা দিতে পারব না, কিন্তু আমরা এর খুব কাছাকাছি যেতে পারি।”

তিনি জানান, গুগল ম্যানুয়ালি বিজ্ঞাপন মেলানো আর নীতিমালা লঙ্ঘন যাচাইয়ে সময় বাড়িয়েছে। আশা করা যায়, গুগল এমন পণ্য তৈরি করতে পারবে যা উগ্রপন্থী কনটেন্টগুলোকে র‍্যাংকিংয়ে এমনভাবে নিচে নামাবে যা সামাজিক মাধ্যমগুলোর চেয়েও ভালোভাবে হবে। তিনি বলেন, “কোনটি সবচেয়ে বেশি উপযুক্তি আর কোনটি সবচেয়ে কম তা শনাক্ত করতে আমরা খুবই ভালো। কম্পিউটারের জন্য ক্ষতিকর, ভুল পথে নিতে পারে এমন আর ভুল তথ্য শনাক্ত করা সম্ভব হওয়া উচিত।”

“আমরা সেন্সররশিপ নিয়ে বলছি না, আমরা শুধু এগুলোকে পেইজ থেকে সরিয়ে নিয়ে অন্য কোথাও রাখার কথা বলছি… যাতে এগুলো খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়। আমি মনে করি আমরা ঠিক পথে যাচ্ছি”- বলেন তিনি।