প্রতিষ্ঠানটি এই সংস্করণকে নাম দিয়েছে ‘টুইটার লাইট’। মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের ব্যবহারকারীদেরকে লক্ষ্য করে এটি আনা হয়েছে। এই সংস্করণ কোনো একক ফোন অ্যাপ্লিকেশন নয়, বরং একটি ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে কাজ করবে। তবে, এর চেহারা আর কার্যকারিতা অনেকটাই অ্যাপ ব্যবহারের মতো হবে, সংস্করণটির একটি প্রিভিউয়ের সূত্রে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।
টুইটার ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানও এর আগে এমন পণ্য বাজারে এনেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইসবুক ২০১৫ সালে ‘ফেইসবুক লাইট’ নামে এমন সংস্করণ উন্মোচন করে। এ খবর প্রকাশের আগের মঙ্গলবার ভারতের জন্য বানানো অ্যালফাবেট মালিকানাধীন ভিডিও শেয়ারিং ইউটিউব-এর একটি কম ডেটার অ্যাপ ছাড়া হয়।
ব্যবহারকারীর সংখ্যার দিক থেকে টুইটার এই প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে পিছিয়ে আছে। ২০১৬ সালের শেষে হিসাব অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির গড় মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৩১ কোটি ৯০ লাখ, আগের বছরের তুলনায় যা ৪ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে, ফেইসবুকের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৯০ কোটি।
এক সাক্ষাৎকারে টুইটারের পণ্যবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কিথ কোলম্যান বলেন, “আমরা মনে করি না, আমরা এই অন্য দেশগুলোতে যথেষ্ট পোঁছাতে পারছি, এটি আমাদের দ্রুত, সস্তায় আর আগের চেয়ে উন্নত অভিজ্ঞতা দেওয়ার মাধ্যমে এ কাজ করার সুযোগ দেবে।”
প্রতিষ্ঠানটির মোবাইল ওয়েবসাইটে কয়েকটি পরিবর্তন আনা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির হিসাব মতে, এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাদের ব্রাউজার সংস্করণে ৪০ শতাংশ ডেটা খরচ কমে যাওয়ার অভিজ্ঞতা পাবেন। সেইসঙ্গে একটি ডেটা-সেভিং ফিচার চালুর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা গড়ে ৭০ শতাংশের মতো ডেটা খরচ কমাতে সক্ষম হবেন, জানিয়েছেন টুইটারের এক পণ্য ব্যবস্থাপক প্যাট্রিক ট্রাফবার।