কোনো ব্যক্তির অনুমতি ছাড়াই তাকে অপমানের উদ্দেশ্যে ইন্টারনেটের তার যৌনতাপূর্ণ ছবি বা ভিডিও শেয়ার করে দেওয়া হলে, ওই সব কনটেন্ট-কে ‘রিভেঞ্জ পর্ন’ বলা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নারীরা সাবেক সঙ্গীদের এমন অনুশীলনের শিকার হন, বলা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে।
এই অনুশীলন বন্ধে ফেইসবুকের আরও পদক্ষেপ নেওয়া উচিত- এমন দাবি করে ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন জন মামলা দায়ের করেছেন। ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠানটি এক ঘোষণায় ‘প্রতিশোধের উদ্দেশ্যে শেয়ার’ করা ছবি নিষিদ্ধ করে, সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা লঙ্ঘন করে এমন পোস্ট নিয়ে ব্যবহারকারীদের অভিযোগের সুযোগ দেওয়া হয়।
বুধবার থেকে এই সোশাল জায়ান্টের ব্যবহারকারীরা তাদের টাইমলাইনে প্রদর্শিত ছবিগুলোর পাশে একট অপশন দেখতে পাবেন, এর মাধ্যমে এই ছবি অনুপুযুক্ত কারণ এটি ‘আমার নগ্ন ছবি’ এমন অভিযোগ করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।
নিষিদ্ধ করা ছবিগুলো বারবার শেয়ার হওয়া বন্ধে একটি স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া চালুর কথাও জানিয়েছে ফেইসবুক। একটি ফটো-ম্যাচিং সফটওয়্যার ফেইসবুকের মূল নেটওয়ার্ক, ইনস্টাগ্রাম ও মেসেঞ্জার থেকে ছবিগুলোর সংরক্ষণ করবে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
‘রিভেঞ্জ পর্ন’ শেয়ার করেন এমন ব্যবহারকারীরা তাদের অ্যাকাউন্ট বিকল অবস্থায়ও দেখতে পারেন বলেও প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফেইসবুকের বৈশ্বিক নিরাপত্তা প্রধান অ্যান্টিগোন ডেভিস এক সাক্ষাৎকারে জানান, সমালোচনার মুখে প্রতিষ্ঠানটি ২০১৬ সালে দেড়শ’টিরও বেশি নারী নিরাপত্তা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।
ডেভিস বলেন, ফেইসবুকের বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত কর্মীরা প্রতিটি অভিযোগ পাওয়া ছবি যাচাই করে প্রতিবেদন দেবেন।
বারবার শেয়ার করা বন্ধের প্রক্রিয়ায় ফেইসবুককে ওইসব নিষিদ্ধ ছবির একটি ডেটাবেইস তৈরি করতে হবে। যদিও এসব ছবি ঝাপসা করে দেওয়া হবে আর প্রতিষ্ঠানের খুব কম সংখ্যক কর্মী এ ছবিগুলো দেখতে পারবেন বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।