ডেটা অপব্যবহার, জরিমানায় ব্রিটিশ দাতব্য সংস্থা

১১টি দাতব্য সংস্থার বিরুদ্ধে জরিমানা ধার্য করেছে যুক্তরাজ্যের ডেটা পর্যবেক্ষক সংস্থা। তহবিল সংগ্রহের উদ্দেশ্যে আগের লাখ লাখ দাতাদের তথ্য ভুলভাবে ব্যবহারের অভিযোগে এই জরিমানা করা হয়েছে।  

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 April 2017, 02:49 PM
Updated : 6 April 2017, 12:30 PM

জরিমানার মুখে পড়া সংস্থাগুলোর মধ্যে অক্সফাম, ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে, দ্য রয়্যাল ব্রিটিশ লেজিওন, ব্যাটেরসা ডগস’ অ্যান্ড ক্যাটস’ হোম রয়েছে।  

যুক্তরাজ্যের ইনফরমেশন কমিশনারের অফিস থেকে বলা হয়েছে, এই সংস্থাগুলো গোপনে বিভিন্ন উৎস থেকে ডেটা সংগ্রহ করেছে ও নতুন দাতা পাওয়ার উদ্দেশ্যে ব্যক্তিগত বিস্তারিত ডেটা বিক্রি করেছে। সংস্থাগুলোকে অবশ্যই আইন মানতে হবে বলেও জানায় কর্তৃপক্ষ।

বড় অংকের জরিমানা দিলে দাতারা অখুশি হতে পারেন এ বিষয়টি মাথায় রেখে জরিমানার অংকটা ছয় থেকে ১৮ হাজার পাউন্ডের মধ্যে রাখা হয়েছে, খবর বিবিসি’র।

ইনফরমেশন কমিশনার এলিজাবেথ ডেনহাম বলেন, “ক্ষতিগ্রস্থরা তাদের দান আর তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বাস করা দাতব্য সংস্থাগুলো কীভাবে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য বিশ্লেষণা করেছে ও শেয়ার করেছে তা জানলে হতাশ হবেন।”

“কোনো দাতব্য সংস্থা তাদের দাতা অন্যের হাতে যেতে দিতে চায় না।”

কোন সংস্থাকে কত জরিমানা করা হয়েছে-

ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এনিমেল ওয়েলফেয়ার - ১৮০০০ পাউন্ড

ক্যান্সার সাপোর্ট ইউকে - ১৬০০০ পাউন্ড

ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে - ১৬০০০ পাউন্ড

দ্য গাইড ডগস ফর দ্য ব্লাইন্ড অ্যাসোসিয়েশন - ১৫০০০ পাউন্ড

ম্যাকমিলান ক্যান্সার সাপোর্ট - ১৪০০০ পাউন্ড

দ্য রয়্যাল ব্রিটিশ লেজিওন - ১২০০০ পাউন্ড

দ্য ন্যাশনাল সোসাইটি ফর দ্য প্রেভেনশন অফ ক্রুয়েলটি টু চিলড্রেন - ১২০০০ পাউন্ড

গ্রেট অরমন্ড স্ট্রিট হসপিটাল চিলড্রেন’স চ্যারিটি - ১১০০০ পাউন্ড

ডাব্লিউডাব্লিউএফ-ইউকে - ৯০০০ পাউন্ড

ব্যাটেরসা ডগ’স অ্যান্ড ক্যাটস’ হোম- ৯০০০ পাউন্ড

অক্সফাম - ৬০০০ পাউন্ড

এ বিষয়ে অক্সফাম গ্রেট ব্রিটেনের প্রধান নির্বাহী মার্ক গোল্ডরিং এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা সবসময়ই সমর্থকদের সাথে আমাদের সম্পর্ককে গভীরভাবে মূল্যায়ন করে থাকি এবং একইসাথে আমরা সব ধরনের প্রচলিত আইনকেও সর্বোতভাবে মেনে চলি।

“গত দু’বছরে অনুদান সংগ্রহের ক্ষেত্রে বেশ কিছু আইন ও নীতিমালার পরিবর্তন এসেছে। আমরা অনুদান সংগ্রহ সংক্রান্ত সব ধরনের আইন ও নীতিমালা মেনে চলার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও আইসিও-এর সাথে সার্বক্ষণিক সম্পর্ক বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।”