উবার-এর ‘চুরির’ মামলায় বিচারকের হুকুম

অ্যাপভিত্তিক ট্যাক্সি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান উবারের বিরুদ্ধে গুগলের স্বচালিত গাড়ির প্রতিষ্ঠান ওয়েইমো’র মেধাসত্ত্ব সম্পত্তি চুরির মামলায় হুকুম জারি করতে পারেন মার্কিন বিচারক  উইলিয়াম আলসাপ।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 March 2017, 10:25 AM
Updated : 31 March 2017, 10:25 AM

উবারের নির্বাহী কর্মকর্তা আন্থনি লেভান্ডস্কি যিনি এই মামলার মূল চরিত্র তাকে আদালতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির করা না হলে হুকুম জারি করা  হতে পারে, জানিয়েছে রয়টার্স। অপরাধী হিসেবে যাতে পরিচিত না হন সে ভয়েই আদালতে আসছেন না লেভান্ডস্কি।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাণিজ্যিক গোপন তথ্য এবং প্রযুক্তি চুরির দায়ে উবারের বিরুদ্ধে মামলা করে ওয়েইমো।

উবারের স্বচালিত গাড়ির প্রতিষ্ঠান ‘ওটো’-এর বিরুদ্ধে এ মামলা করে ওয়েইমো। আগের বছর ৭০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যে ওটো নামের এ প্রতিষ্ঠানটিকে কেনে উবার।

মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে ওয়েইমো’র সাবেক ব্যবস্থাপক অ্যান্থনি লেভানডস্কি প্রতিষ্ঠান ছাড়ার সময় এর তথ্য নিয়ে যান। ওয়েইমো ছেড়ে তিনি সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে একটি ভেনচার তৈরি করেন, যা বর্তমানে ‘ওটো-তে পরিণত হয়েছে।

মামলায় বলা হয়, লেভানডস্কি প্রতিষ্ঠান ছাড়ার সময়, “১৪ হাজার অতি গোপনীয় তথ্য এবং নকশার ফাইল ডাউনলোড করেন।”

স্বচালিত গাড়ির জন্য লিডার প্রযুক্তি চুরির অভিযোগও আনা হয়েছে উবারের বিরুদ্ধে। লিডার হল একটি লেজারভিত্তিক রেডার সিস্টেম যা স্বয়ংক্রিয় গাড়ির আশপাশের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করতে সাহায্য করে।

লেভানডস্কি মামলার বিবাদী না হলেও এই মামলার মূল ব্যক্তি তিনি। আপাতত মামলায় সাময়িক হুকুম দাবি করেছে ওয়েইমো। মামলার রায় না দেওয়া পর্যন্ত উবার যাতে তাদের কাছ থেকে চুরি করা কোনো প্রযুক্তি ব্যবহার না করে সে আহ্বান জানানো হয়েছে। চলতি বছর ৩ মে এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা রয়েছে।

মামলার একদিন পর উবারের পক্ষ থেকে একে ‘ভিত্তিহীন’ দাবি করা হয়। এক বিবৃতিতে উবার-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, “আমাদের দল যে উন্নয়ন করেছে তা নিয়ে আমরা দারুণ গর্বিত। আমরা ওয়েইমো’র অভিযোগ বিবেচনা করে দেখেছি এবং আমরা মনে করছি প্রতিযোগীকে থামানোর এটি একটি ভিত্তিহীন চেষ্টা।”

ভিত্তিহীন দাবী করলেও এখন পর্যন্ত আদালতে লেভান্ডস্কিকে বিচারের জন্য আনা হয়নি। এ কারণেই হুকুম জারির কথা উল্লেখ করেছেন স্যান ফ্রান্সিসকো জেলা আদালতের বিচারক আলসাপ।

তিনি লেভানডস্কি’র আইনজীবী মাইলস এরিলচকে বলেন, “আপনি এমন কারও প্রতিনিধিত্ব করছেন যিনি বিশৃঙ্খলায় রয়েছেন।”

সম্প্রতি এই মামলায় সালিশি রায় দাবী করেছে উবার। আদালতে প্রচলিত বিচার প্রক্রিয়ায় না গিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে মামলা মীমাংসা প্রক্রিয়াকে সালিশ বলা হয়ে থাকে। আইনী লড়াইয়ের  চেয়ে দ্রুত এবং কম খরচে মামলা মীমাংসা হয় সালিশ প্রক্রিয়ায়। এতে একজন বিচারক দুই পক্ষের সম্মতিতে বক্তব্য শোনেন ও সিদ্ধান্ত দেন।

বিচার প্রক্রিয়ায় রুল জারি করার একমাত্র অধিকার সালিশি বিচারকের। তবে, একবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তাতে আপিলের কোনো সুযোগ নেই।